shono
Advertisement

এবার কৃপাণ সঙ্গে রাখতে পারবেন শিখ বিমানকর্মী ও যাত্রীরা, বিতর্কে জল ঢেলে নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

অন্তর্দেশীয় উড়ানের জন্য এই নির্দেশিকা।
Posted: 05:38 PM Mar 14, 2022Updated: 06:57 PM Mar 14, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃপাণ শিখ ধর্মের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। যদিও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের (Ministry of Civil Aviation) নির্দেশিকা অনুযায়ী শিখ ধর্মাবলম্বীরা বিমানবন্দরে ও বিমানে সঙ্গে কৃপাণ রাখতে পারছিলেন না। এই বিষয়ে সম্প্রতি বিতর্ক হয়। যার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে চিঠি লেখেন শিরোমণি গুরুদ্বারের প্রবন্ধক কমিটির সভাপতি হরজিন্দর সিং ধামি। অবশেষে কেন্দ্র বদলে ফেলল সেই নিয়ম। এবার থেকে বিমানবন্দরে, এমনকী বিমানেও সঙ্গে কৃপাণ রাখতে পারবেন শিখ ধর্মাবলম্বীরা। বিমান যাত্রীদের পাশাপাশি এই নিয়ম লাগু হচ্ছে বিমানকর্মীদের জন্যও।  

Advertisement

সম্প্রতি এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শিখ ধর্মাবলম্বীরা বিমানবন্দরে ও বিমানে সঙ্গে কৃপাণ রাখতে পারবেন। তবে তার দৈর্ঘ্য সর্বমোট ৯ ইঞ্চির বেশি হবে না। এই নিয়ম জারি করা হচ্ছে ভারতীয় বিমান সংস্থার বিমানগুলিতে, শুধুমাত্র অন্তর্দেশীয় উড়ানেই।

[আরও পড়ুন: ডাক্তারি পড়ুয়াদের চরক-শপথ বাধ্যতামূলক না করার দাবিতে রাজ্যসভায় নোটিস তৃণমূল সাংসদের]

নয়া নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা মনজিন্দর সিং সির্সা। তিনি টুইট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে (Jyotiraditya Scindia)। টুইটে তিনি লেখেন, “শিখ বিমান যাত্রী ও উড়ান কর্মীরা সঙ্গে কৃপাণ রাখতে পারবেন না, কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা বদলানো হয়েছে। নতুন নিয়মে শিখ কর্মী ও যাত্রীদের কৃপাণ রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে।”

[আরও পড়ুন: ফের বদলে গেল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার সূচি, উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে বাড়ল ধোঁয়াশা!]

প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে অমৃতসর বিমানবন্দরে এক শিখ কর্মীকে কর্মস্থলে থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় সঙ্গে কৃপাণ ছিল বলে। সেই সময় অমৃতসর বিমানবন্দরের ডিরেক্টর জানান, কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী তিনি ওই কর্মীকে কাজ করতে দেননি। এই ঘটনার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। ক্ষুব্ধ হন শিরোমণি গুরুদ্বারের প্রবন্ধক কমিটির সভাপতি হরজিন্দর সিং ধামি। তিনি বলেন, কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা শিখ ধর্মের উপর ‘আঘাত’। এই বিষয়ে ধামি চিঠি লেখেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধ রাখল কেন্দ্র। বিতর্কে জল ঢেলে জারি হল নয়া নির্দেশিকা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement