সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাইক্লোন তওকতের (Cyclone Tauktae) তাণ্ডবে মহারাষ্ট্রে প্রাণ গেল অন্তত ৬ জনের। ঝড়ের দাপটে আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৭ জন। মুম্বইজুড়ে তওকতের হাত থেকে বাঁচাতে অন্তত সাড়ে ১৩ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুজরাট উপকূলে এখনও না পৌঁছলেও ঝড়ের প্রভাব দেখা যাচ্ছে সেখানেও।
তওকতের মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। ইতিমধ্যেই ভারতীয় নৌ বাহিনী তাদের জাহাজ নামিয়েছে। কোচি বন্দর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ঝড়ের দাপটে আটকে পড়া মৎস্যজীবীদের একটি নৌকা উদ্ধার করেছে নৌ বাহিনীর জাহাজ। ওই নৌকায় ১২ জন মৎস্যজীবী ছিলেন।
এদিকে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে দাবি করেছেন, সম্প্রতিকালে মুম্বইয়ে যে সাইক্লোন আছড়ে পড়েছে তার মধ্যে তওকতের গতি সব থেকে বেশি। অন্তত ১১৪ কিলোমিটার বেগে তওকেত মুম্বইয়ে আছড়ে পড়েছে। ফলে মুম্বইয়ের বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। মুম্বইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জলবন্দি হয়ে রয়েছে। ঝড়ের দাপটে প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছে। তার ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে শর্ট সার্কিট হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউ ক্ষতি করতে পারে শিশুদের! সংক্রমণ রুখতে বিশেষ পরামর্শ ডা. দেবী শেঠির]
এদিকে আজ রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে পোরবন্দর থেকে মাহুভার মাঝামাঝি কোনও জায়গায় তওকতে আছড়ে পড়বে গুজরাট উপকূলে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। গুজরাটে ইতিমধ্যেই যথাসম্ভব সতর্কতা মূলক প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে। উপকূল এলাকা থেকে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। গুজরাটেও ইতিমধ্যেই তওকতের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উপকূল সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। তওকতের কারণে আপাতত ২ দিন টিকাকরণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে গুজরাত প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রী গুজরাট এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। পরিস্থিতি এবং প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন। কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল দমন দিওয়ের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছেন মোদি। তাঁদেরও সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।