সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রতিককালে চোরাই সোনা (Gold Smuggling) উদ্ধার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সোনা বাজেয়াপ্তর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাজেয়াপ্ত চোরাই সোনার পরিমাণ ২ হাজার কিলোগ্রাম। অধিকাংশ সোনালি ধাতু উদ্ধার হয়েছে মায়ানমার, নেপাল এবং বাংলাদেশ সীমান্তে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইন্ডায়েরেক্ট ট্য়াক্সেস অ্যান্ড কাস্টোমসের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার অগরওয়াল জানিয়েছেন, গত বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল ১, ৪০০ কেজি সোনা। গত ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে মোটা সোনা উদ্ধার হয়েছে ৩,৮০০ কেজি। সঞ্জয় বলেন, “গত বছরের তুলনায় সোনার শুল্ক কাঠামোতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে চোরাচালানের বাড়বাড়ন্ত নির্ভর করে আন্তর্জাতিক এবং দেশের বাজারের সোনার দামের উপরে।” চলতি বছরে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর, এই ছয় মাসে ২ হাজার কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে।যা গত বছরের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি।
[আরও পড়ুন: ‘ইহুদি নিধনের মতোই..’, সনাতন ধর্ম মন্তব্যে স্ট্যালিনপুত্রকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা বিজেপির]
প্রসঙ্গত, গত দুই সপ্তাহে লাফিয়ে বেড়েছে সোনার দাম। ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষের পর থেকেই মূল্যবান সোনালি ধাতুর দাম ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। গত মে মাসে হলমার্ক সোনার গয়নার ক্ষেত্রে ২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫৩ হাজার ৬০০ টাকা। যা এখন ঘোরাফেরা করছে ৫৮ হাজার থেকে ৬২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। যা থেকে পরিষ্কার, এই অনিশ্চিত সময়ে সোনা বিনিয়োগের দিকে অনেকেই ঝুঁকছেন।