সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাপের ছোবল! তাও দশবার। এভাবেই এক ব্যক্তির মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার কথা জানা গিয়েছিল। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল আকবরপুর সাদাত গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারও করা হয়েছিল সাপটিকে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেতেই চমকে উঠেছে পুলিশ। যা বলছে, বিষক্রিয়া নয়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে অমিত নাম্নী ওই যুবককে। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মৃতের স্ত্রী রবিতাকে। সে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নাকি স্বীকারও করে নিয়েছে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে ওই ব্যক্তিকে খুন করার কথা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিতার সঙ্গে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক হয় এক বছর আগে। কিন্তু সেই পরকীয়ার কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন স্বামী অমিত। আর সেই কারণেই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করে রবিতা ও তার প্রেমিক। কিন্তু শেষপর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যে সমস্ত 'ঠান্ডা মাথার পরিকল্পনা' ফাঁস করে দেবে এটা কল্পনা করতে পারেনি দুই অভিযুক্ত।
পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট রাকেশ কুমার জানিয়েছেন, ''অভিযুক্তরা এক হাজার টাকা খরচ করেছিল পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে। তদন্তে নেমে আমরা জানতে পেরেছি ওই ব্যক্তিকে খুন করে সেখানে সাপটি ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে সহজেই লোকে বিশ্বাস করে।'' পেশায় শ্রমজীবী অমিতের মৃত্যুতে গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রথমে সকলেই মেনে নিয়েছিল, সাপের কামড়েই মারা গিয়েছেন তিনি।
কিন্তু পুলিশ পরে দাবি করে, পুরোটাই 'নাটক'। সাপটি অমিতের শরীরে ছেড়ে দেওয়ার পর সেটি দংশন করে। কিন্তু তার আগেই গলা টিপে তাঁকে মেরে ফেলার ফলে বিষ শরীরে ছড়ায়নি। এই মৃত্যুর ঘটনা মনে করাচ্ছে যোগীরাজ্যের আরেক হাড়হিম হত্যাকাণ্ডকে। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে কেটে টুকরো করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে মুসকান নামের এক তরুণী। এবার ফের সেই রাজ্যেই পরকীয়ার কারণে স্বামীকে খুনের দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।