সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে সমন্বয় আরও মজবুত হল কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। বুধবার রাজ্যসভায় তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সংঘাত পর্বের বর্ণনা সোনিয়া গান্ধী শুনলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়ানের সঙ্গে এক টেবিলে কফি খেতে খেতে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে সেই বৈঠক চলল বেশ কিছুক্ষণ।

সূত্রের খবর, সংসদে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সমন্বয় নিয়েই সোনিয়া-ডেরেকর মধ্যে কথা হয়েছে। রাজ্যসভায় আগামী দিনে তৃণমূলের আরেক সাংসদ দোলা সেনও যে শাহকে আক্রমণ করবেন, সেই বিষয়টিও আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। আসলে বুধবার যখন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলের সঙ্গে অমিত শাহর বাক বিতণ্ডা হয়, সেসময় সংসদে ছিলেন না তাই ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল, সেটা জানার জন্যই ডেরেকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাছাড়া আগামী দিনে জাতীয় স্তরে বা সংসদে কীভাবে সমন্বয় সাধন করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়।
তবে এই আলোচনা মোটেই মল্লিকার্জুন খাড়গের ডাকা রুটিন বৈঠক ছিল না। রাজ্যসভার দলনেতা সাধারণত অধিবেশনের দিন সকালে নিজের ঘরে অন্য দলের দলনেতাদের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিন বৈঠক করেন সমন্বয় সাধণের জন্য। তৃণমূল সচরাচর সেই বৈঠকে যোগ দেয় না। তৃণমূল সূত্রের খবর, খাড়গের ডাকা সরকারি বৈঠক এটা নয়। যেহেতু সাকেতের সঙ্গে রাজ্যসভায় শাহের বিতণ্ডা হয়, তাই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে খাড়গের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন ডেরেক। সেখানেই দেখা হয় সোনিয়ার সঙ্গে।
উল্লেখ্য, একদিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে সমন্বয় বাড়তেই পারে। তবে সেটার সঙ্গে রাজ্য রাজনীতির কোনও যোগ নেই। রাজ্যে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে যা করার সেটাই প্রদেশ নেতৃত্বের করা উচিত। তৃণমূল সূত্রও বলছে, বুধবারের দিল্লির আলোচনার সঙ্গে রাজ্য রাজনীতির কোনও যোগ নেই।