সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্ভল হিংসার তদন্তে নেমে এবার বড় পদক্ষেপ উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। রবিবার বিশেষ তদন্তকারী দল বা এসআইটির তরফে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হল জামা মসজিদের প্রধান জাফর আলিকে। এর আগে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল জাফরকে। তবে প্রতিবার হাজিরা এড়ান তিনি। রবিবার তিনি হাজিরা দিলে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।

আদালতের নির্দেশ মেনে গত বছরের ২৪ নভেম্বর সম্ভলের শাহী জামা মসজিদে সমীক্ষার কাজে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। সেখানে হামলা চালায় স্থানীয় জনতা। প্রায় শতিনেক লোক জড়ো হয়েছিলেন মসিজদের সামনে। আধিকারিকরা মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে ইট ও পাথরবৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। যদিও মসজিদের প্রধান বার বার জনতাকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পরে জানা যায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি আহত হন ২৯ জন পুলিশকর্মী। এই ঘটনার পরই কড়া হাতে মাঠে নামে যোগীর পুলিশ।
এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই দলে ছিলেন হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, প্রাক্তন ডিজিপি এবং অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য সচিব। তদন্তে নেমে জামা মসজিদের প্রধান জাফর আলিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। পাশাপাশি দুই আইনজীবী মাসুদ আলি ফারুকি ও কাসিম জালালকেও তলব করা হয়। যদিও তদন্তকারীদের ডাকে সাড়া দেননি কেউই। অবশেষে রবিবার জাফর তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও এই গ্রেপ্তারি নিয়ে বিশদে কিছুই জানানো হয়নি তদন্তকারীদের তরফে।
এদিকে সম্ভল হিংসার ঘটনায় মোট ১২টি মামলার ৬টি চার্জশিট জমা দিয়েছে সিট। ৪ হাজার পাতার এই চার্জশিটে ১৫৯ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, হামলায় যে অস্ত্র ব্যবহার হয়েছিল তা আমেরিকা, জার্মানিতে তৈরি বলে দাবি করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারির পর যাতে নতুন করে সম্ভলে হিংসা না ছাড়ায় তার জন্য কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়, চলছে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি।