সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদে বিক্রমের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যে জায়গায় ল্যান্ডারটি নেমেছিল তার নাম ‘শিবশক্তি’ রাখা হয়েছে বলে জানালেন তিনি। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যে শনিবার বেঙ্গালুরুতে ইসরোর বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। ঐতিহাসিক ২৩ আগস্টের দিনটিকে অমর করে রাখতে জাতীয় মহাকাশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন তিনি।
শনিবার গ্রিস থেকে ফিরেই বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যে বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। ইসরোর ‘টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্ক মিশন কন্ট্রোল কমপ্লেক্স’ থেকে এদিন মোদি জানান, যে জায়গায় চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম নেমেছিল তার নাম ‘শিবশক্তি’ রাখা হয়েছে। চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডার যেখানে আছড়ে পড়েছিল সেই জায়গার নাম ‘তিরঙ্গা পয়েন্ট’ রাখা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন মোদি বলেন, “শিবশক্তি পয়েন্ট আমাদের অনুপ্রেরণা দেবে। তিরঙ্গা পয়েন্ট দেবে শিক্ষা। ২৩ আগস্টের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এখনও ভুলতে পারছি না। আমার চোখের সামনে সেই মুহূর্ত বারবার ভেসে উঠছে। চাঁদে মেক ইন ইন্ডিয়া পৌঁছে গিয়েছে। কোনও ব্যর্থতা শেষ নয়। চন্দ্রাভিযানে মহিলা বিজ্ঞানীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ। মুন মিশন চাঁদের রহস্য ভেদ করবে।”
[আরও পড়ুন: ‘ওরাই কথা বলতে চেয়েছিল’, মোদি-জিনপিং বৈঠক নিয়ে দাবি দিল্লির]
উল্লেখ্য, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯। কেঁদেছিলেন ইসরোর তৎকালীন চেয়ারম্যান কে শিবন (K Shivan)। কেঁদেছিল গোটা ভারত। সেদিন মহাশূন্যের অতলে হারিয়ে গিয়েছিল ১৪০ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন। তার পর পেরিয়েছে চার বছর। চন্দ্রযান ২-র সেই ব্যর্থতার অধ্যায় দ্রুত মুছে ফেলেছে ইসরো (ISRO)। ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। যে মুহূর্ত চন্দ্রযান-২ মিশন ‘ব্যর্থ’ হল, ঠিক তার পরমুহূর্তেই নতুন উদ্যোমে ঝাঁপিয়ে পড়লেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তারপর গত প্রায় চারবছর শুধু চাঁদের মাটি ছোঁয়ার স্বপ্ন, আর অক্লান্ত পরিশ্রম। যার ফলাফল, ২৩ আগস্ট ২০২৩।