ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব, প্রতিশ্রুতির জুমলা, দুর্নীতি– এটাই কেন্দ্র সরকারের ‘রামরাজত্ব’। যার বিরুদ্ধে তোপ দেগে তারুণ্য আর যুবশক্তিকে সামনে রেখে লোকসভা ভোটে (Lokshaba election 2024) লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে এসইউসিআই (SUCI)। বাংলার ৪২ আসন-সহ দেশজুড়ে ১৫১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তারা। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ৫টি ও ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনে ২৮টি কেন্দ্রেও প্রার্থী দিয়েছে।
এসইউসিআই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ বিজেপি-কংগ্রেসকে মূল শত্রু ঘোষণা করে বাম আদর্শে গড়া বৃহত্তর ঐক্যের পক্ষে সওয়াল করেন। তাঁর কথায়, “উন্নয়ন হচ্ছে শুধু একচেটিয়া পুঁজিপতিদের। ডবল ইঞ্জিন সরকারের এই উন্নয়নের মূল কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)।” এই ‘পুঁজিবাদ’ কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরেই এ দেশে এসেছে বলেও তোপ দাগেন তিনি। সেই সূত্রেই ফ্যাসিবাদকে সামনে এনেছে বিজেপি (BJP)।
[আরও পড়ুন: বাংলায় কটি আসন পাবে বিজেপি? ‘আব কি বার’ হবে কি ৪০০ পার? কী বলছে সমীক্ষা]
প্রভাসবাবুর কথায়, “ভোটের স্বার্থে বিজেপি ধর্মের ধুয়ো তুলে মসজিদ ধ্বংস করে রামমন্দির তৈরি করেছে। অন্যদিকে, গণ-আন্দোলনকে দমন করছে।” তার জন্যই তারুণ্য আর যুবশক্তিকে মাথায় রেখেই প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যেও প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। দলের আশঙ্কা, সেখানে সবরকমভাবেই বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়তে হতে পারে প্রার্থীকে। তবে প্রতিরোধের রাস্তাতেই যে তাঁর দলের প্রার্থীরা থাকবেন সে কথা বলে দিয়েছেন প্রভাসবাবু।
[আরও পড়ুন: পাক সীমান্তে তৈরি প্রথম অ্যাপাচে স্কোয়াড্রন, শত্রুদের জবাব দেবে ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’]
এদিকে বাংলায় ৩৪ বছরে বাম শাসন প্রকৃত বামপন্থী আন্দোলনের মর্যাদা নষ্ট করেছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। প্রভাসবাবুর কথায়, “সিপিএম সবসময় কংগ্রেসের সঙ্গে থাকতে চায়। তারাই বৃহত্তর বাম ঐক্যের উপর আঘাত হানছে। ঐক্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।” সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাটকেও তোপ দেগেছেন। তাঁর দাবি, সিপিএম মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বললেও, আইএসএফের মতো দলের সঙ্গে যাচ্ছে। বিজেপি, কংগ্রেসকে পুঁজিবাদের দালাল বলে কটাক্ষ করার পাশাপাশি তৃণমূলকেও নিশানা করেন প্রভাস ঘোষ।