সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও সুপ্রিম কোর্টের তোপে পড়ল ইডি। চলতি বছরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বিআর গভাইয়ের ভর্ৎসনা, যত অভিযোগ দায়ের হয়ে তার ০.১ শতাংশ দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয়, দোষী সাব্যস্ত না হলেও অভিযুক্তদের দিনের পর দিন বন্দি করে রাখার ক্ষেত্রেও পারদর্শী হয়ে উঠছে ইডি, এমনটাই তোপ সুপ্রিম কোর্টের।
জেএসডব্লিউ সিমেন্ট দ্বারা ভূষণ পাওয়ার অ্যান্ড স্টিল লিমিটেডের অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতেই ইডিকে তোপ দাগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এক আইনজীবী জানান, ভূষণের বিরুদ্ধে এখনও ইডির তদন্ত চলছে। সেই শুনেই বিচারপতি গভাই বলেন, "এখানেও ইডি রয়েছে?" এহেন মন্তব্যের পর কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ইডির বিরোধিতায় ইউটিউবে একাধিক ভুয়ো ভিডিও ছড়াচ্ছে। কিন্তু আর্থিক তছরুপের অভিযোগ দায়েরের পর ২৩ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি।
তবে মেহতাকে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, "আমি মাত্র ১০-১৫ মিনিটের জন্য খবরের কাগজ দেখি। আদালত কোনও নির্দিষ্ট একপক্ষের কথা মেনে চলে না।" তারপরেই বিচারপতি গভাই বলেন, "আপনাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার কত? আর্থিক তছরুপের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তারা যদি দোষী সাব্যস্ত নাও হয় তবুও বছরের পর বছর ধরে তাদের জেলে বন্দি করে রাখতে আপনারা সিদ্ধহস্ত।"
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়েছে ইডি। দিনকয়েক আগেই শীর্ষ আদালত স্পষ্ট বলে, রাজনীতির লড়াইয়ে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজনীতির স্বার্থে অপব্যবহৃত হচ্ছে ইডি। এছাড়াও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাও ইডিকে তোপ দেগে বলেছিলেন, অভিযুক্তকে জেলে আটকে রাখতেই লাগাতার চার্জশিট তৈরি হচ্ছে। আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মণীশ সিসোদিয়াকে জামিন দেওয়ার সময়েও এই বিষয়টি উল্লেখ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, বিরোধী নেতৃত্ব বরাবরই ইডির কার্যকলাপ নিয়ে সুর চড়িয়েছে। সম্প্রতি সেই বিষয়টি নিয়ে তিরস্কার করছে শীর্ষ আদালতও।
