সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুয়ো টিআরপি মামলায় বড়া ধাক্কা রিপাবলিক টিভির (Republic TV)। তাঁদের সিবিআই তদন্তের আরজি বৃহস্পতিবার শুনলই না সুপ্রিম কোর্ট। বরং বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। এদিকে বিতর্কের জেরে খবরের চ্যানেলের ভিউয়ারশিপ রেটিং প্রক্রিয়া সাময়িক স্থগিত রাখল ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা বার্ক (BARC)।
আগামী তিনমাস কোনও বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে বা খবররের চ্যানেলকে সাপ্তাহিক ভিউয়ারশিপ রেটিং দেবে না ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা বার্ক। তাঁদের রেটিং প্রক্রিয়ায় কোনও গলদ আছে কিনা, বা কারচুপি করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে সংস্থা। তাই তিনমাসের জন্য এই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হচ্ছে বলে এদিন জানিয়েছে বার্ক।
[আরও পড়ুন : জন্মদিনে ‘মিসাইল ম্যান’ কালামকে শ্রদ্ধা দেশবাসীর, জেনে তিনি তাঁর অবিস্মরণীয় অবদান]
রিপাবলিক টিভি-সহ তিনটি চ্যানেলের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভিউয়ারশিপ কেনার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের তদন্তও শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। রিপাবলিক টিভি এই অভিযোগের সিবিআই তদন্ত চেয়ে বুধবার রাতে সটান সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এদিন তাঁদের সেই পিটিশান গ্রহণই করল না শীর্ষ আদালত। তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, “আপনারা ইতিমধ্যে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাই এই পিটিশান আমাদের শোনার অর্থ হাই কোর্টকে অবিশ্বাস করা। তাই আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো নিয়ম মেনে বম্বে হাই কের্টের দ্বারস্থ হন।” একইসঙ্গে আদালতের যুক্তি, “আপনাদের অফিস তো ওরলিতে। হাই কোর্টে যান।” উল্লেখ্য, বম্বে হাই কোর্টেও চ্যানেলটি পিটিশান জমা করেছেন। রিপাবলিক টিভির সুপ্রিম আবেদনের বিরোধিতা করেছিল মুম্বই পুলিশও। তাঁদের অভিযোগ, তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা তৈরি করতে চাইছে চ্যানেলটি। এই পরিস্থিতিতে আপাতত খবরের চ্যানেলগুলি ভিউয়ারশিপ রেটিং দেওয়া বন্ধ রাখল বার্ক।
এই নির্দেশিকা সর্বভারতীয় সমস্ত খবরের চ্যানেল-সহ আঞ্চলিক ও বিজনেস নিউজ চ্যানেলগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই চ্যানেলগুলিকে সাপ্তাহিক ভিউয়ারশিপ রেটিং আপাতত দেওয়া হবে না। তবে প্রতিটি রাজ্য ও ভাষার নিউজচ্যানেলগুলির সাপ্তাহিক অডিয়েন্স এস্টিমেট প্রকাশ করবে বার্ক। প্রসঙ্গত, এই ভিউয়ার শিপ রেটিং-এর উপরই নির্ভর করে কোন নিউজ চ্যানেল কত বিজ্ঞাপন পাবে। এ দিন রেটিং সংস্থা বার্কের তরফে জানানো হয়েছে, নিউজ চ্যানেলগুলিকে রেটিং করার পদ্ধতি নতুন করে খতিয়ে দেখবে তাঁদের কলাকুশলীরা। এটা করতে ৮-১২ সপ্তাহ সময় লাগবে।