shono
Advertisement
Supreme Court

অভ্যন্তরীণ তদন্তেই আস্থা, বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

বাড়ি থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা উদ্ধারের পরও দায়ের হবে না এফআইআর।
Published By: Subhajit MandalPosted: 02:45 PM Mar 28, 2025Updated: 03:46 PM Mar 28, 2025

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল কাড়ি কাড়ি পোড়া টাকা। যে কাণ্ডের জেরে গোটা বিচারবিভাগ প্রশ্নের মুখে। অথচ দিল্লির হাই কোর্টের সেই বিচারপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি দিতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলছে, সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ কমিটি এ নিয়ে তদন্ত করছে। তারা যদি মনে করে, তাহলে আইনি পথে পদক্ষেপ করা হবে।

Advertisement

বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান আইনজীবী ম্যাথুজ নেদুম্পরার। তাঁর সাফ কথা, মামলা দায়ের করতে হবে ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে। মামলায় দাবি করা হয়েছে, বিচারপতিরা যেভাবে সরাসরি ফৌজদারি মামলা থেকে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ পান, সেটাও পুনর্বিবেচনা করা উচিত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চ ওই এফআইআর দায়েরর দাবি পুরোপুরি খারিজ করে দিল।

ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের ইন হাউস কমিটি পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে। যদি ওই কমিটি মনে করে কোথাও বেনিয়ম হয়েছে, তাহলে আইন আইনের পথে চলবে। এখনই এ নিয়ে ভাবার সময় আসেনি।

উল্লেখ্য, দোলের ছুটি চলাকালীন বিচারপতি বর্মার বাড়িতে আগুন লাগে। তখনই তাঁর বাড়িতে বিপুল পরিমাণ নগদ পান দমকল কর্মীরা। এরপর বিচারপতির বাড়ির কাছে রাস্তা থেকেও পাঁচশো টাকার পোড়া নোট উদ্ধার হয়। এখনও পর্যন্ত ওই অর্থের উৎস জানা যায়নি। যদিও গোটা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিচারপতি যশবন্ত। তাঁর দাবি, “পুরোটাই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। ওই ঘরে প্রচুর জিনিস থাকত, বেশ কিছু নথিপত্রও ছিল। আমার বাড়ি থেকে ওই ঘরটি সম্পূর্ণ আলাদা। অনেকেই ওখানে যাতায়াত করত। তাছাড়া বাড়িটিতে আমার পরিবারের কারও সেভাবে যোগাযোগও থাকত না।” ওই বিচারপতির দাবি, তিনি বা তাঁর পরিবারের সবাই অনলাইনে বা ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই লেনদেন করেন। এই টাকার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক তাঁদের নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দিল্লির হাই কোর্টের সেই বিচারপতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি দিতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট।
  • শীর্ষ আদালত বলছে, সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ কমিটি এ নিয়ে তদন্ত করছে।
  • তারা যদি মনে করে, তাহলে আইনি পথে পদক্ষেপ করা হবে।
Advertisement