সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু ভিন্ন ধর্মেই (Interfaith marriages) নয়। অন্য বর্ণে বিয়েও (Intercaste marriages) মেনে নেওয়ার সময় এসেছে বলে জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মন্তব্য, “কোনও পুরুষ বা মহিলার সম্পূর্ণ অধিকার আছে নিজের জীবনসঙ্গী পছন্দ করার। আর সেটা মেনে নিতে শিখতে হবে সমাজকে। এই শিক্ষার এখনই উৎকৃষ্ট সময়।”
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয়কৃষ্ণ কৌল ও হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এক মামলার শুনানির সময় জানায়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিয়ে মেনে নেওয়াটা খুবই জরুরি। এটি একটি সামাজিক অনুশীলনের মতো। অভিভাবকরা শুধু ভিন ধর্মে বিবাহের জন্য যদি নিজের সন্তানকে দূরে ঠেলে দেন, তা কখনওই আদর্শ সামাজিক রীতি হতে পারে না। কর্ণাটকের ভিন্ন ধর্মের এক অধ্যাপক-দম্পতি বাড়ির অমতে গিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেন। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। মেয়েটির বাড়ি থেকে মেয়ে নিখোঁজের মামলা করায় ওই দম্পতি আদালতে আবেদনপত্র জমা দেয়।
[আরও পড়ুন : সপ্তাহে ৪ দিন কাজ করে ৩ দিন ছুটি? বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য আসছে নতুন আইন!]
ওই দম্পতির বিরুদ্ধে এফআইআরের আরজিকে পত্রপাঠ খারিজ করে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, যখন দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ কোনও সম্পর্কে জড়ান, তখন কেবল তাঁদের বাবা-মা মেনে নিচ্ছেন না বলে তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা করা যায় না। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, যত সময় এগোচ্ছে, তত এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আরও বেশি করে নিজেদের জীবনসঙ্গী নিজেরাই খুঁজে নিচ্ছেন। যাঁরা পরিবারের অমতে বিয়ে করছেন, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা পুলিশকে করতে হবে।
ভারতের মতো দেশে যেখানে এখনও লাভ জেহাদ বা ভিন ধর্মে বিয়ে করলে মা-বাবা দুঃখপ্রকাশ করেন, সেখানে সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সমাজতত্ত্ববিদরা। সমাজের পাশাপাশি পুলিশকেও এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।