সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার চণ্ডীগড় (Chandigarh) মেয়র নির্বাচনের ব্যালট পেপার খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি নজর রাখা হবে গোটা ভোটদানের ভিডিওর দিকেও। উল্লেখ্য, চণ্ডীগড় পুরসভায় ঘোড়া কেনাবেচা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল শীর্ষ আদালত।
গত ৩০ জানুয়ারি মেয়র নির্বাচন ছিল চণ্ডীগড়ে। বিজেপিকে রুখতে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল কংগ্রেস এবং আপ। ভোটের হিসাবে প্রথমে এগিয়েও গিয়েছিলেন আপ-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কুলদীপ। মোট ৩৬টি বৈধ ভোটের মধ্যে জোট পায় ২০টি। অন্যদিকে, বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী মনোজ সোনকর পান ১৬টি ভোট। কিন্তু পরে কুলদীপের পাওয়া ৮টি ভোটকে বাতিল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মাসি। হেরে যাওয়ার পরে ভোটের ফল চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করেন কুলদীপ।
[আরও পড়ুন: ডাক এসেছে ছাদনাতলার, একটুকরো হাসি চেয়ে বেঘোরে প্রাণ খোয়াল যুবক]
সোমবার এই মামলার শুনানিতে চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। কারণ অনিল নিজেই ব্যালট পেপারে কালির দাগ দিয়ে ভোটগুলো বাতিল করে দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানায়, মঙ্গলবার মেয়র নির্বাচনের যাবতীয় ব্যালট পেপার খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে ভোটগণনার গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিও দেখবে শীর্ষ আদালত। জানা গিয়েছে, পুনর্নির্বাচনের পথে এখনই হাঁটতে চায় না আদালত। বরং আগে যা ভোট পড়েছে তার ভিত্তিতেই ফলপ্রকাশ করা যেতে পারে বলে মনে করছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, শুনানির সময়ে নতুন করে নির্বাচনের আবেদন করেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ফের নির্বাচন হলে চণ্ডীগড়ে ইন্ডিয়া জোটের হার নিশ্চিত। কারণ আপের (AAP) তিন কাউন্সিলর যোগ দেওয়ায় ৩৫ সদস্যের পুরসভায় বিজেপির (BJP) কাউন্সিলর সংখ্যা ১৪ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ১৭। এছাড়াও অকালি দলের এক কাউন্সিলর এবং চণ্ডীগড়ের সাংসদ কিরণ খেরের ভোট পাবেন বিজেপি প্রার্থী। অন্যদিকে আপের ১০ এবং কংগ্রেসের ৭ কাউন্সিলরের পক্ষে ম্যাজিক ফিগার ১৯ ছোঁয়া কার্যত অসম্ভব। এহেন পরিস্থিতিতে ব্যালট খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়, সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।