সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋতুকালীন ছুটি (Menstrual Leave) সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি শুরুই করল না সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন এই মামলা খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। তবে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে আবেদন করা যেতে পারে।
ঋতুমতীদের প্রতি মাসের নির্দিষ্ট সময়ে ছুটি দিতে হবে-এই আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। শৈলেন্দ্র ত্রিপাঠী নামে এক আইনজীবী এই মামলা দায়ের করেন। শুনানির সময়ে তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায়, আপাতত এই মামলা খারিজ করা হচ্ছে। তবে আবেদনকারীরা এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হতে পারে। ছুটি দেওয়ার বিষয়টি একেবারেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: বাজার থেকে উধাও পিঁয়াজ? বিশ্বজুড়ে তীব্র হচ্ছে সংকট]
সুপ্রিম কোর্টে এই পিটিশন দায়ের হওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, ছুটি দিলে কি আদৌ সুবিধা হবে মহিলাদের? প্রত্যেক মাসে যদি বাধ্যতামূলকভাবে মহিলা কর্মীদের ছুটি দিতে হয়, তাহলে লোকসান হবে কর্মক্ষেত্রে। এই ক্ষতি এড়াতে মহিলা কর্মী ছাড়াই কাজ চালাতে চাইবেন সংস্থার কর্তৃপক্ষ। ফলে মহিলাদের কাজের সুযোগ অনেকখানি কমে যাবে। তবে এই প্রশ্নের পালটা zomato, সুইগি, বাইজুসের মতো একাধিক সংস্থার উদাহরণ রয়েছে, যেখানে ঋতুকালীন ছুটি পান মহিলারা।
ভারতের মধ্যে একমাত্র বিহারেই ঋতুকালীন ছুটি দেওয়া হয়। এই ছুটির নিয়ম রয়েছে এশিয়ার নানা দেশেই। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় সরকারি ছুটির মধ্যেই ঋতুকালীন ছুটিকেও গণ্য করা হয়। প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসাবে ঋতুকালীন ছুটির আইন পাশ করেছে স্পেন। প্রতি মাসে তিনদিন করে ছুটি পান সেদেশের মহিলারা।