সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরাবরই তিনি পরিচিত নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে। মুখ্যমন্ত্রীর নেকনজরে থাকার দরুনই সম্ভবত বিহার পুলিশের ডিজিপির পদটিও পেয়েছেন। সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় কারণে অকারণে বহুবার শিরোনামে এসেছেন। সেই গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে (Gupteshwar Pandey) এবার অবসর নিচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ বা বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। জিতে এলে রাজ্যের মন্ত্রিসভাতেও জায়গা পেতে পারেন।
সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় (Sushant Singh Rajput Case) বিহারের ডিজিপির একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে বহু জলঘোলা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। আসলে এই গুপ্তেশ্বর পাণ্ডের নেতৃত্বেই সুশান্ত মৃত্যু মামলায় মহারাষ্ট্র পুলিশের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গিয়েছে বিহার পুলিশ। তাঁর নেতৃত্বেই বিহার পুলিশের একটা দল একপ্রকার জোর করে মুম্বই গিয়ে এই মামলার তদন্ত শুরু করে। এমনকী, এই মামলায় মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেন এই গুপ্তেশ্বর। আসলে এই মামলাকে কেন্দ্র করে বিহার বনাম মহারাষ্ট্রের যে অঘোষিত একটা লড়াই দেখা গিয়েছিল, তাঁর নেপথ্যে ছিলেন এই গুপ্তেশ্বর পাণ্ডেই।
[আরও পড়ুন: সাত দশকের সম্পর্কে ইতি! টাটা সন্সের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত সাপুরজি পালনজি গ্রুপের]
গুপ্তেশ্বরের রাজনীতিতে আসার ইচ্ছেটা অবশ্য নতুন নয়। এর আগে ২০১৪ সালে একবার এনডিএ’র টিকিটেই ভোটে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বক্সার লোকসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট চেয়েছিলেন নীতীশের কাছে। কিন্তু সেবারে বিহারের মুহ্যমন্ত্রী রাজি হননি। শোনা যাচ্ছে, এবার তিনি সবুজ সংকেত দিয়েছেন। গুপ্তেশ্বরকে বক্সারের কোনও কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হতে পারে। বক্সার শহর কেন্দ্র থেকেই তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ইতিমধ্যেই নিজের ইস্তফাপত্র তিনি ইমেল মারফৎ পাঠিয়ে দিয়েছেন বিহারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে। তাঁর পরিবর্তে ডিজিপি হোমগার্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিহার পুলিশের। যদিও সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বা চাকরি ছাড়া নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি গুপ্তেশ্বর। আসলে ভোটে দাঁড়ালে যে বিরোধীরা নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে সেটা তিনি ভালই জানেন। তাই একটু রয়েসয়ে এগোতে চাইছেন।
The post স্বেচ্ছাবসরে সুশান্ত মামলায় শিরোনামে আসা বিহারের ডিজিপি! NDA’র হয়ে লড়তে পারেন ভোটে appeared first on Sangbad Pratidin.
