সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখ রাঙাচ্ছে চিন। তৃতীয়বার কমিউনিস্ট পার্টির সর্বেসর্বা হয়ে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন শি জিনপিং। এহেন পরিস্থিতিতে ‘ড্রাগন’-কে রুখতে ভারতেই ভরসা রাখছে তাইওয়ান। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে দ্বিপরাষ্ট্রটি।
সদ্য ভারত সফরে এসেছেন তাইওয়ানের (Taiwan) উপ-অর্থমন্ত্রী চেন চের্ন চাই। ‘ইন্ডিয়া-তাইওয়ান ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল কলাবরেশন সামিট’-এ যোগ দিতেই এই সফর। ভারতের চেম্বার অফ কমার্স এবং তাইওয়ানের ‘চাইনিজ ন্যাশনেল ফেডারেশন অফ ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর যৌথ উদ্যোগে এই সম্মেলন হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে তাইওয়ানের উপ-অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কাছে পণ্য উৎপাদনের জন্য ভারত সবচেয়ে ভাল স্থান হতে পারে। ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া নীতিতে আমাদের সরকারের সমর্থন রয়েছে। আমাদের সংস্থাগুলি ভারতীয় কোম্পানি গুলির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, নয়াদিল্লির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ইঙ্গিতও দিয়েছে তাইপেই।
[আরও পড়ুন: গুলি বের করতে একাধিক অস্ত্রোপচার, কেমন আছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান?]
২০২০ সাল থেকে লড়াই শুরু করলেও, কিছুতেই করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) বাগে আনতে পারছে না চিন (China)। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই জারি করতে হচ্ছে লকডাউন (Lockdown)। এই অবস্থায় সেদেশের ঝেংঝউ প্রদেশ, যেখানে বিশ্বের বৃহত্তম আইফোনের কারখানা রয়েছে, সেখান থেকে শয়ে শয়ে কর্মীদের রীতিমতো বেড়া ডিঙিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে দেশটির ‘জিরো কোভিড পলিসি’র জন্য বিনিয়োগকারীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। ফলে লগ্নির জন্য বিকল্প হিসেবে ভারত আদর্শ জায়গা হয়ে উঠতে পারে।
উল্লেখ্য, বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) ক্ষমতায় ফিরে আসা তাইওয়ানের জন্য অশনি সংকেত। কারণ, এই পদক্ষেপই স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, ভবিষ্যতে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিয়ে বড়সড় কোনও পরিকল্পনা করছেন জিনপিং। ফলে আরও একটা যুদ্ধ ঘটে যাওয়া অসম্ভব নয়। আপাতত ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তিনি। দল ও সেনার অন্দরে দুর্নীতি দমনের নামে বিরোধের কোণঠাসা করে ফেলেছেন জিনপিং। তাই তাঁর নীল নকশায় বাধা দেওয়ার মতো কেউ নেই। এহেন পরিস্থিতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টাই স্বাভাবিক।