সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেয়ারে বসিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে হায়দরাবাদের (Hyderabad) এক ইঞ্জিনিয়ারকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারার (Murder) অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি ‘কালো জাদু’ (Black Magic) করে তাঁর শ্যালককে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছেন! মৃত ব্যক্তির নাম পাগিলাপবন কুমার (৩৮)। তেলেঙ্গানার জগতিয়ালা জেলার বলবন্তপুর গ্রামে ঘটেছে এমনই মর্মান্তিক এক ঘটনা।
পাগিলাপবনের শ্যালক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পরে গত সোমবার শ্বশুরবাড়ি যান ওই ব্যক্তি। তখনই ওই নৃশংস কাণ্ড ঘটায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, বারো দিন আগে তাঁর শ্যালক জগনের মৃত্যু হয়। এদিন তাঁর স্ত্রীর খোঁজখবর নিতে সেখানে যান আক্রান্ত ব্যক্তি। অভিযোগ, তখনই পবনের স্ত্রী কৃষ্ণবেণীকে জল আনতে পাঠিয়ে ঘরের দরজা আটকে পবনকে চেয়ারে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: নজরে আরব দুনিয়া, বাহরাইনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা জয়শংকরের]
জল নিয়ে ফিরে কৃষ্ণবেণী আবিষ্কার করেন, ঘরের ভিতর থেকে পুরু ধোঁয়া বেরোচ্ছে। কিন্তু ধোঁয়ার কারণে তিনি দরজা খুলেও ঢুকতে পারছিলেন না। ইতিমধ্যে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষণে পবনের শরীরের অধিকাংশই পুড়ে গিয়েছিল। মূল অভিযুক্ত পবনের শ্যালকের স্ত্রী সুমালতা নিজের অপরাধ কবুল করেছে পুলিশের কাছে।
কেন এভাবে নৃশংসতার শিকার হতে হল পবনকে? প্রাথমিক তদন্ত থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, মাস দুয়েক আগে শ্যালকের সঙ্গে প্রবল বাকবিতণ্ডা হয় তাঁর। তখনই পবন শ্যালককে খুনের হুমকি দেন। সেই সময় থেকেই জগন ও তাঁর স্ত্রী সুমালতার সন্দেহ হতে থাকে, নিশ্চয়ই ‘কালো জাদু’-র সাহায্যে শ্যালকের কোনও ক্ষতি করে দেবেন পবন। শেষ পর্যন্ত জগনের মৃত্যু হলে সুমালতা ও তার পরিবারের লোকেদের ধারণা দৃঢ় হয়, পবনই এসব ঘটিয়েছে। আর সেই থেকেই খুনের পরিকল্পনা করে তারা। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত খুনের কারণ এটাই কিনা, সে বিষয়ে পুলিশ পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।