সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অজেয় ভারতের লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোল সেনাবাহিনী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আরও এক অদ্ভুত নিদর্শন পেশ করল বায়ুসেনা। মাঝ আকাশেই জ্বালানি ভরা হল দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিতি তেজস যুদ্ধবিমানে। আমেরিকা, রাশিয়ার মতো বিশ্বের মুষ্টিমেয় দেশগুলির হাতেই এই প্রযুক্তি রয়েছে। এবার সেই কুলীন দলেও জায়গা করে নিল দেশ।
[সিরিয়ায় ফসফরাস বোমা ফেলেছে আমেরিকা, অভিযোগে সরব রাশিয়া]
তেজস যুদ্ধবিমানটি বানিয়েছে সামরিক বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হ্যাল। ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট’টি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মীত। বায়ুসেনার জরাগ্রস্ত মিগ-২১ বিমানগুলির জায়গা নেবে তেজস। ইতিমধ্যেই একাধিক পরীক্ষায় সফলভাবে উতরেছে বিমানটি। সোমবার একপ্রকার অগ্নিপরীক্ষা হয় তেজসের। তাতেও সফল হয় যুদ্ধবিমানটি। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, সোমবার প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় রুশ নির্মিত ‘আইএল-৭৮’ জ্বালানিবাহী বিমান থেকে ইন্ধন ভরা হয় তেজসে। স্বল্প সময়েই প্রায় ১৯ হাজার লিটার জ্বালানি পৌঁছে যায় যুদ্ধবিমানটির পেটে। সমস্ত প্রক্রিয়াটি ক্যামেরাবন্দি করে বায়ুসেনা। মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরার সময় প্রতি ঘন্টায় ৫০০ কিলোমিটার গতি ছিল তেজস যুদ্ধবিমানের। ওই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জ্বালানিবাহী বিমানটিকে সামলান উইং কমান্ডার সিদ্ধার্থ সিং।
বর্তমান বাযুসেনার হাতে রয়েছে ৯টি তেজস। যুদ্ধবিমানগুলি পরিচালনা করে বায়ুসেনার ‘ফ্লাইং ড্যাগার’ স্কোয়াড্রন।তামিলনাড়ুর সুলুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে বিমানগুলি। শীঘ্রই এমন আরও প্রায় একশটি বিমান আসতে চলেছে বায়ুসেনার ভাণ্ডারে। ক্ষমতায় আসার পরই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি অস্ত্রনির্মাতাদের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছে কেন্দ্র সরকার। উল্লেখ্য, শব্দের দ্বিগুণেরও বেশি গতি তেজসের। প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত এর কার্য্যসীমা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরায় বিমানটি অনেক বেশি সময় বাতাসে থাকতে পারবে। ফলে সময় বাঁচবে। সব মিলিয়ে এদিনের সফল পরীক্ষার পর সামরিক ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে গিয়েছে দেশ।
দেখুন ভিডিও:
The post নয়া রেকর্ড গড়ল যুদ্ধবিমান তেজস, ‘এলিট ক্লাবে’ প্রবেশ ভারতের appeared first on Sangbad Pratidin.