সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গভীর রাতে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন তেলেঙ্গানা (Telengana) বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP President) তথা বিজেপি সাংসদ বন্দি সঞ্জয় কুমার (Bandi Sanjay Kumar)। পুলিশের দাবি, দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে প্রথমে আটক করা হলেও পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গেরুয়া নেতাকে। যদিও বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে দমনমূলক পদক্ষেপ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) তেলেঙ্গানা সফরের আগেভাগে জোর শোরগোল তেলঙ্গানার রাজ্য রাজনীতিতে।
৪ এপ্রিল, মঙ্গলবার দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা শুরু হয়েছে তেলঙ্গানায়। অভিযোগ ওঠে হিন্দি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার রাতেই তেলঙ্গানার রাজ্য বিজেপি সভাপতির বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। আটক করা হয় বন্দি সঞ্জয়কে। জানা গিয়েছে, গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয় গেরুয়া নেতাকে। বিজেপি নেতাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার সময় গোলমাল পাকান বিজেপি সমর্থকেরা। বিক্ষোভরত বিজেপি সমর্থকদের কয়েক জনকেও আটক করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ডোকলাম প্রসঙ্গে চিনের হস্তক্ষেপ চায় ভুটান! সমস্যা মেটাতে রাজার সঙ্গে বৈঠক মোদির]
পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পরে ঘটনার ছবি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন সঞ্জয়। টুইটারে কটাক্ষ করেন, ভয় পেয়ে এই কাজ করেছে তেলেঙ্গানার শাসক দল। লেখেন, ‘‘বিআরএস (BRS) ভয় পেয়েছে! প্রথমে আমাকে সাংবাদিক বৈঠক করতে বাধা দিয়েছিল, রাতে আমায় গ্রেপ্তার করল! আমার একটাই অপরাধ যে বিআরএস সরকারের খারাপ কাজের নিন্দা করেছি। যদি আমার জেলও হয়, আপনারা সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলুন। জয় শ্রীরাম! ভারত মাতাকি জয়! জয় তেলঙ্গানা।”
[আরও পড়ুন: শয্যাসঙ্গী হতে চাপ, কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ দলেরই মহিলা নেত্রীর]
এদিকে রাজ্য শীর্ষনেতাকে গ্রেপ্তারির পরেই শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, কোনও কারণ না দর্শিয়েই নেতাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তেলঙ্গানা বিজেপির ভাষায় ‘বেআইনি গ্রেপ্তারি’। বিজেপি সভাপতির আটকের কারণ জানতে এবং বর্তমানে তাঁকে কোথায় ঠিক রাখা হয়েছে, তা জানতে বুধবারই তেলেঙ্গানা হাই কোর্টে মামলা করেছে দল। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, বন্দিকে প্রথমে আটক করা হয়েছিল। পরে মাধ্যমিকের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার হিন্দি পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেটি ফরওয়ার্ড হয়েছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির ফোনেও। যদিও গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভিত্তিহীন কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নেতাকে। গোটা ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।