সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং শিওরে লোকসভা নির্বাচন৷ এমন উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বেনজির আক্রমণ করলেন টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও এবং কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা রাজ বব্বর ও সিপি জোশী৷ তাঁদের কেউ আশ্রয় নিলেন সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তৃতার৷ কেউ বা প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করতে গিয়ে রেয়াত করলেন না তাঁর মাকেও৷
[শিখ পুণ্যার্থীদের জন্য কর্তারপুর করিডর গড়বে ভারত]
মোদির সমালোচনা করতে গিয়ে শুক্রবার শালীনতার মাত্রা ছাড়ান তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও৷ এদিন ভোট প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর হিন্দু-মুসলিম রোগ রয়েছে৷” টিআরএস প্রধানের এই মন্তব্য নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে৷ সমালোচনা করে কংগ্রেস, বিজেপি-সহ অন্যান্য বিরোধীরা৷ কেবল কেসিআর-ই নন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুবাক্য ব্যবহারকারীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা সিপি জোশীও৷ সম্প্রতি রাজস্থানে ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই মোদি-সহ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ান তিনি৷ সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তৃতায় তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা হিন্দুত্ব নিয়ে এত মাতামাতি করেন। কিন্তু তাঁদের জাত কেউ জানেন কি? হিন্দুধর্ম নিয়ে কেবলমাত্র ব্রাহ্মণরাই মন্তব্য করতে পারেন। কারণ, এই ব্যাপারে তাঁদেরই একমাত্র জ্ঞান রয়েছে৷ নরেন্দ্র মোদি এবং উমা ভারতীরা কেউই ব্রাহ্মণ নন। তাই, তাঁদের হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই৷”
[লোকসভার আগেই বিধানসভা ভোট কাশ্মীরে, জানাল নির্বাচন কমিশন]
সিপি জোশীর এই মন্তব্য আগুনের ফুলকির মতো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ নিন্দায় সরব হয় বিভিন্ন মহল৷ কার্যত বাধ্য হয়েই এই ইস্যুতে মুখ খুলতে হয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে৷ টুইটারে তিনি লেখেন, “কংগ্রেস বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না৷ সিপি জোশীর মন্তব্য তাই দলের নীতি-আদর্শের বিরুদ্ধাচরণ করেছে৷ কংগ্রেসের নেতাদের কাছে আমি অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন এমন কোনও মন্তব্য না করেন যা, কোনও জাতি বা সম্প্রদায়ের মানুষ আঘাত করে৷ আমি আশা করি জোশীজি নিজের ভুল বুঝতে পারবেন এবং ক্ষমা চেয়ে নেবেন।” হাইকমান্ডের এই বার্তা পেয়েই তড়িঘড়ি টুইটারে ক্ষমা চেয়ে নেন সিপি জোশী৷ এই ঘটনার ঠিক একদিন আগে, বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বর৷ সেখানকার একটি জনসভায় একাধিক ইস্যুকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি৷ প্রবল সমালোচনা করেন পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং ডলারের তুলনায় টাকার দাম কমে যাওয়ার৷ প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তাঁর মা ‘হীরাবেন’কে টেনে আনেন প্রাক্তন এই অভিনেতা৷ তিনি বলেন, “ডলারের তুলনায় টাকার দাম এত পরিমাণে কমছে যে, শীঘ্রই তা আপনার মায়ের বয়সকে ছুঁয়ে যাবে৷”
The post ‘প্রধানমন্ত্রীর হিন্দু-মুসলিম রোগ আছে’, ভোট প্রচারে বেলাগাম তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.