সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষিতা হয়েছেন। সে অভিযোগ জানিয়ে ক্রমে আরও বিপাকে পড়ছেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। বিচারবিভাগীয় তদন্তে থাকাকালীন তাঁর বাবার রহস্যমৃত্যু হয়েছে। তারপরই গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়কের ভাই। যদিও তাতে অবস্থা তো স্বাভাবিক হয়নি, উলটে বেহাল হয়েছে। গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে বিধায়কের দলবল। শেষমেশ এমন পরিস্থিতি যে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
[ কুলগামে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ, শহিদ জওয়ান ]
অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনেগারের দাপটে তটস্থ গ্রামবাসীরাও। উন্নাও থেকে নির্যাতিতার গ্রামের দূরত্ব খুব বেশি নয়। নির্যাতিতার মা জানাচ্ছেন, তাঁরা গ্রামে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। কেননা সেখানে বিধায়ক ও তাঁর দলবল নিশ্চয়ই কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছে। প্রাণহানিরই আশঙ্কা করছেন তাঁরা। বিজেপি বিধায়কের ভয়ে তাঁদের হয়ে কোনও গ্রামবাসী যে মুখ খুলবেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত তাঁরা। আর তাই গ্রামে ফিরতে চাইছেন না নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার।
[ নীল-গেরুয়া-নীল, যোগীর রাজ্যে আম্বেদকরের মূর্তি নিয়ে চলছে রাজনীতির খেলা ]
গ্রামের উপর বিধায়কের দাপট যে চরমে তা অবশ্য বোঝাই যায়। বিধায়কের স্ত্রী উন্নাও জেলা পঞ্চায়েতের সভাপতি। বিধায়কের ভাইয়ের স্ত্রী গ্রাম প্রধান। সুতরাং সেখানে যে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের প্রাণ সংশয় আছে তা বলাই বাহুল্য। পরিস্থিতি এমন যে গ্রামে কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। পুরুষরা গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছেন। কারণ তদন্তে যদি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় তবে বিধায়কের কোপে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। এদিকে পুরো ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে। প্রতিনিধিদল আজই ওই গ্রামে পৌঁছেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশেই তদন্তে নেমেছে সিট।
এদিকে নির্যাতিতার দাবি, জেলাশাসকের পক্ষ থেকে তাঁকে একটি হোটেলের ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে তিনি জল পর্যন্তও পাচ্ছেন না। তবে তাঁর একটাই দাবি, অভিযুক্তের শাস্তি হোক।
অন্যদিকে অভিযুক্ত বিধায়কের স্ত্রীর দাবি, পুরোটাই মিথ্যে। রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিতেই এই কাজ করা হচ্ছে। কোনও প্রমাণ না পাওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁর স্বামীকে ধর্ষক হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
পুরো ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু হয়েছে এলাহাবাদ হাই কোর্টে।
The post বিজেপি বিধায়কের ভয়ে হোটেলে বন্দি উন্নাওয়ের নির্যাতিতা, মিলছে না জলও appeared first on Sangbad Pratidin.