সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি আসছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। আর এতেই চরম ক্ষুব্ধ ভারতে থাকা তিব্বতিরা। বুধবার রাজধানীতে চিনা দূতাবাসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান অনেকেই। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। উত্তপ্ত হয়ে উঠে দিল্লি।
২০২৩ বা চলতি বছর জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতি পদে রয়েছে ভারত। আগামীকাল, ২ মার্চ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই গোষ্ঠীর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক। সেখানে অংশ নিতে ভারতে আসছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং। মঙ্গলবার এই সফরের কথা নিশ্চিত করে চিনা বিদেশমন্ত্রক। ভারত সফরের কথা ঘোষণা করে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছিলেন, আসন্ন জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে বিশ্ব অর্থনীতিতে তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত। আর এ নিয়ে বেজিং যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বলে জানান।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতা হারিয়ে বদলা নিতে ফুঁসছে পশ্চিম’, জি-২০ বৈঠকের আগেই তোপ রাশিয়ার]
এহেন পরিস্থিতিতে চিনা দূতাবাসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তিব্বতিরা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। উত্তপ্ত হয়ে উঠে দিল্লি। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিবাদীদের অনেককেই আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গায়ের জোরে তিব্বত দখল করলেও তিব্বতিদের মন জয় করতে পারেনি চিন। স্বাধীনতার দাবিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের গায়ে আগুন দেওয়ার ছবি আজও গায়ে কাঁটা দেয়। কয়েকদিন আগেই জানা যায়, বিদ্রোহের আশঙ্কায় লাসার উপর সাঁড়াশি চাপ তৈরি করে ভিক্ষুদের মঠছাড়া করছে কমিউনিস্ট দেশটি। তিব্বতের পার্শ্ববর্তী কুইংহাই প্রদেশের মঠগুলি থেকে বিক্ষুদের তাড়িয়ে দিচ্ছে চিন।
রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, গত ১ অক্টোবর ধর্মীয় গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে একটি নয়া আইন আনে চিন। ওই আইনে বলা হয়েছে, নাবালকদের ভিক্ষু হিসেবে মঠে রাখা যাবে না। কোনও ধর্মীয় আচার আচরণে অংশ নিতে পারবে না তারা। তারপরই কুইংহাইর জাখিইউং-সহ অন্যান্য মঠ থেকে কমবয়সী সন্ন্যাসীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। মঠগুলিতে রীতিমতো নজরদারি চালাচ্ছে সরকারি আধিকারিকরা।