নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যে উপনির্বাচনের আবহে বিজেপি নেতাদের 'উসকানিমূলক' বক্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চেয়েছিল তৃণমূল। শনিবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে সাক্ষাতে একপ্রস্ত আলোচনার পরও সময় চেয়েছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেবরা। সময় দেওয়া হয়েছে সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টেয়। আর তাতেই আপত্তি তুলল তৃণমূল। এবার কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ এনে কড়া ভাষায় পাঠানো হল চিঠি। তাঁদের প্রশ্ন, সোমবার বিকেল ৫টায় প্রচার শেষ। সাড়ে ৩টেয় আলোচনার ভিত্তিতে কীভাবে বিজেপি নেতাদের প্রচারে লাগাম পরাবে কমিশন? আর এহেন আচরণ বিজেপিকেই সুবিধা পাইয়ে দেবে বলে মনে করছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।
শনিবার দিল্লিতে কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠক কথা ছিল তৃণমূল প্রতিনিধি দলের। কিন্তু কথা হয়নি ডেরেক, সুদীপদের। শুধুমাত্র স্মারকলিপি জমা দিতে পেরেছিলেন। এর পরই বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত ক্ষোভের স্বরেই জানান, কমিশন তাঁদের কথা শোনেনি। ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর 'অতিসক্রিয়তা' এবং সেই সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার নিয়ে বলার ছিল কমিশনকে। আশা ছিল, কমিশন উপনির্বাচনের আগে তাঁদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে কোনও না কোনও পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু ২ দিন কেটে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনও সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে উপনির্বাচনের প্রচারে বিজেপির তরফেও উত্তেজক বক্তব্যে লাগাম পরানো যায়নি। এসব নিয়ে ফের কমিশনের দ্বারস্থ হতে চেয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।
সোমবার সকালে কমিশনকে লেখা চিঠিতে বেশ কড়া সমালোচনা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তা নিয়ে রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, ''নির্বাচন কমিশনের আচরণ পক্ষপাতহীন নয়। আমাদের মনে হচ্ছে, এই আচরণ বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেবে।'' তৃণমূলের অভিযোগ পেয়েও সময়মতো পদক্ষেপ না নেওয়ায় দলের রাজ্যসভার আরেক সাংসদ সাকেত গোখলেও এনিয়ে কমিশনের উদ্দেশে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন।