সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: জেলা সংগঠন তো দূর অস্ত, মেয়ে সুকন্যার খোঁজও তেমন নিলেন না অনুব্রত মণ্ডল। তিহাড় জেলে প্রথমবার নিজের আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর তাঁর উৎসাহ ছিল বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টের শুনানির বিষয়ে। জামিন পাওয়ার কি সম্ভাবনা আছে? আইনজীবীরা সওয়ালে কী কী বিষয়ে জোর দেবেন? এই ধরনের প্রশ্নের উত্তরই বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি খোঁজেন আইনজীবীদের কাছে। এদিকে, গরু পাচার মামলায় আসানসোল জেলের সুপারকে তলব করেছে ইডি।
রাউস অ্যাভিনিউ আদালত থেকে মঙ্গলবার বিকেলে তিহাড় জেলে পৌঁছন অনুব্রত। জেল ম্যানুয়াল ও আদালতের নির্দেশ মেনে প্রথম রাতে এক বিশেষ সেলে নজরদারির মধ্যে রাখা হয় তাঁকে। করা হয় বিভিন্নরকমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। পুরনো প্রেসক্রিপশন মিলিয়ে ও জেল হাসপাতালের পরামর্শ মতো যাবতীয় ওষুধ, ইনসুলিন, ইনহেলার, নেবুলাইজার, অক্সিজেন মাস্ক-সহ অন্যান্য উপকরণ দেওয়া হয় তাঁকে। নির্দিষ্ট সময়ে ডিসপেনসারি থেকে এসে তাঁকে ইনসুলিন দিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বাতিল করে ফিরছে ইন্টারভিউ! শিক্ষক নিয়োগের বিধিতে বদলের সুপারিশ SSC’র]
দুপুরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান দুই আইনজীবী মুদিত জৈন ও সম্পৃক্তা ঘোষাল। উল্লেখজনকভাবে তাঁদের কাছে মেয়ে সুকন্যা সম্পর্কে কিছু জানতে চাননি বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি। সুকন্যাকে ইডি নতুন করে ডাকল কি না, তাঁর শরীর কেমন আছে-কিছুই জানতে চাননি। বরং তাঁর যাবতীয় প্রশ্ন ছিল দিল্লি হাই কোর্টের শুনানি নিয়ে। লক্ষ্মীবারে তাঁর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা আছে কি না, তা-ই জানতে চান।
অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে তাঁর আইনজীবী সম্পৃক্তা বলেন, “এমনিতে ভালই আছেন। অক্সিজেন নিয়ে রাতে ঘুমও ভালই হয়েছে। খাওয়া নিয়েও সমস্যা নেই। এখানে খাবারের মান বেশ ভাল। হাই কোর্টের শুনানির দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।” আগামী ৫ এপ্রিল দিল্লিতে তলব করা হয়েছে আসানসোল জেল সুপার কৃপাময় নন্দীকে।