নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) সংক্রান্ত প্রশ্নই পালটে গেল! ‘নট অ্যাপ্লিকেবল’ বলে জবাব এড়িয়ে গেল কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ (TMC MP) মালা রায় লোকসভায় জানতে চেয়েছিলেন, গত পাঁচ বছরে দেশে কতজন জনপ্রতিনিধি, সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে ইডি মামলা দায়ের করেছে? গত পাঁচ বছরে ইডি’র মামলায় অভিযুক্ত ও শাস্তির অনুপাত কত?
মালা রায়ের দু’টি প্রশ্নের মধ্যে প্রথম প্রশ্নটি একই থাকলেও দ্বিতীয় প্রশ্নটি পালটে গিয়েছে। প্রথম প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী অবশ্য জানিয়েছেন, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ থাকলেই ইডি তদন্তের জন্য মামলা গ্রহণ করে। রাজনৈতিক কারণে নয়, তাই এই ধরনের কোনও তথ্য থাকে না। দ্বিতীয় প্রশ্নটি পালটে বলা হয়েছে, এই ধরনের মামলায় গত পাঁচ বছরে শাস্তির ‘হার’ হয়ে গিয়েছে। তাতে মন্ত্রীর জবাব, এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রযোজ্য নয়।
[আরও পড়ুন: অভিযুক্ত সিবিআই আধিকারিকদের শাস্তি না হলে লালনের দেহ নিতে অস্বীকার, CID তদন্তের দাবি স্ত্রীর]
প্রশ্ন পালটে যাওয়া প্রসঙ্গে মালা রায় (Mala Roy) বলেছেন, “এটা নতুন কিছু নয়। বিজেপি সরকার এমনই করে থাকে। যখনই লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি হবে, বুঝতে পারে তখনই এইসব কাজ করে আসল বিষয় থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতে চায় তারা। এবারেও তাই করেছেন। এদের লজ্জা নেই, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।”
[আরও পড়ুন: ‘লালন শেখের মৃত্যু কীভাবে? বিস্তারিত জানাক CBI’, দাবি মমতার]
তবে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষা অনুযায়ী, মনমোহন সিংয়ের আমলে ২৬ জন রাজনৈতিক নেতানেত্রীর বিরুদ্ধে ছিল ইডির মামলা। আর মোদি সরকারের আমলে সেই সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১। কিন্তু সমীক্ষার দাবি, ওই তালিকায় একজনও বিজেপি (BJP)নেতার নাম নেই। ১২১ জনের সকলেই বিরোধী দলের। অভিযোগ, এই তদন্ত সম্পূর্ণ একমুখী। তার মধ্যে কংগ্রেসের সংখ্যা বেশি। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পওয়ার, পিনারাই বিজয়ন, ফারুক আবদুল্লা।