নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে এক থালা মুড়ি নিয়ে কেন্দ্রের জিএসটির তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার থালা ও বাটিতে মুড়ি নিয়ে সংসদ ভবনের সামনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে শামিল হলেন তৃণমূল সাংসদরা। প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন সাসপেন্ডেড সাংসদরাও।
কীভাবে জিএসটি গৃহস্থের রান্নাঘর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে, তা আমজনতাকে সহজভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বলেছিলেন, এক বাটি মুড়ি খেলেও কেন্দ্র জিএসটি কাটে। স্লোগান তুলেছিলেন, ”আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নইলে বিজেপি বিদায় নাও।” এদিন সেই মুড়ি হাতেই সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য সাংসদরা মুড়ি-চিঁড়ের উপর GST প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হন।
[আরও পড়ুন: ‘সিপিএম-বিজেপি চক্রান্ত করে স্বামীর নাম জড়াচ্ছে’, অভিযোগ পার্থর প্রাক্তন দেহরক্ষীর স্ত্রীর]
এদিকে, মূল্যবৃদ্ধি, টাকার দামের পতনের মতো ইস্যু নিয়ে সরব হতেই গতকাল সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী সাংসদদের। সাসপেন্ড হন রাজ্যসভার (Rajya Sabha) ১৯ জন বিরোধী সাংসদ। সাসপেন্ড করা হয় দোলা সেন, শান্তনু সেন, মৌসম নূর, শান্তা ছেত্রী, নাদিমূল হক, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেবকে। এছাড়াও সাসপেন্ড যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ডিএমকে ও বাম সাংসদও রয়েছেন। তাঁরা সংসদের উচ্চকক্ষে মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রস্ফীতি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্রমাগত স্লোগান দিচ্ছিলেন। ওয়ালে নেমে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। তার জেরে সাপসেন্ড করা হয় তাঁদের। চলতি সপ্তাহে তাঁরা আর বাদল অধিবেশনে অংশ নিতে পারবেন না। এর আগে সোমবার কংগ্রেসের ৪ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সুর চড়ান তাঁরা।
তারই প্রতিবাদে এদিন বাদল অধিবেশন শুরু হতেই সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। দোলা সেনের অভিযোগ, “আমরা এই ইস্যুতে শুধু আলোচনাই দাবি করেছিলাম। তা সত্ত্বেও আমাদের অগণতান্ত্রিক ভাবে বের করে দেওয়া হয়। তাই মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা আজ ১১টা থেকে আগামী শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ৫০ ঘণ্টা ধরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আওয়াজ তুলতে চাই।”