shono
Advertisement

Tripura: হামলার প্রতিবাদে রাতভর ধরনা TMC নেতৃত্বের, মহামারী আইনে গ্রেপ্তার দেবাংশু, সুদীপরা

দেবাংশু, জয়া, সুদীপ রাহা-সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে খোয়াই থানার পুলিশ।
Posted: 08:49 AM Aug 08, 2021Updated: 08:49 AM Aug 08, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুপুর থেকে রাত – গোটা সময়টাই ত্রিপুরায় (Tripura) টানটান উত্তেজনা তৃণমূলের যুব নেতৃত্বকে ঘিরে। শনিবার দুপুরে সোনাচূড়ার কাছে যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তদের গাড়ি আটকে হামলা, মারধরের পর সন্ধে, রাতেও দফায় দফায় আক্রান্ত হন তাঁরা। আর তার প্রতিবাদে রাতভর থানার সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের পর রবিবার ভোরে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খোয়াই থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন সুদীপ রাহা, দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, ত্রিপুরা তৃণমূল (TMC) রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং-সহ মোট ১১ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, মহামারী আইন (Epidemic Act) লঙ্ঘন করায় তাঁদের গ্রেপ্তার হয়েছে। নিগৃহীত যুব নেতৃত্বের পাশে থাকতে এদিন সকালেই আগরতলা পৌঁছেছেন ব্রাত্য বসু, দোলা সেনরা। বেলা ১১টা নাগাদ যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

Advertisement

শনিবার দিনভর দেবাংশু, সুদীপদের কর্মসূচিতে বারবার পুলিশি বাধা, বিরোধী রাজনৈতিক দলের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে। সন্ধে নাগাদ দলীয় কর্মসূচি সেরে ফেরার পথেও তাঁদের আটকানো হয় বলে অভিযোগ। এমনকী আগরতলার (Agartala) যে হোটেলে তাঁরা রয়েছেন, সেই হোটেল ঘিরে রেখে কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।বিজেপির বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে শনিবার রাতেই পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সামনে অবস্থানে বসেন এ রাজ্য থেকে ত্রিপুরায় যাওয়া তৃণমূলের ছাত্র-যুবরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরায় দলের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিংও। এরপর রবিবার ভোরে মহামারী আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করে খোয়াই থানার ভিতরেই রাখা হয়। তাতে তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আরও খানিকটা ঘি পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য।

[আরও পড়ুন: অসমেও ‘খেলা’ শুরু, TMC-তে যোগ দিতে পারেন CAA বিরোধী জনপ্রিয় নেতা Akhil Gogoi]

এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত ছাত্র-যুব নেতাদের পাশে থাকতে তড়িঘড়ি ত্রিপুরা সফরে ছুটেছেন ‘টিম অভিষেক’-এর সদস্যরা। সকালের বিমানেই দমদম থেকে আগরতলা পৌঁছেছেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং শ্রমিক নেত্রী দোলা সেন। তাঁরা পৌঁছেই ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় তোপ দাগেন। ব্রাত্য বসুর কথায়, ”এসব ঘটনাই প্রমাণ করছে যে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার ভয় পেয়ে গিয়েছে। আমরা গণ আন্দোলনের শরিক। আমাদের এভাবে গ্রেপ্তার করে, হামলা চালিয়ে, আটকে রেখে মোটেই দমন করা যাবে না।” রাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠায় দলের স্বয়ং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক নিজে ত্রিপুরা ছুটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত টুইট করেন। রবিবার বেলা ১১টায় তাঁর সেখানে যাওয়ার কথা। এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে ঘিরে যা পরিস্থিতি, অভিষেকের সফরে তা আরও তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই।

[আরও পড়ুন: আততায়ীদের ২০ রাউন্ড গুলিতে ঝাঁঝরা শরীর, মর্মান্তিক মৃত্যু Akali দলের যুব নেতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement