সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ বছরের প্রধানমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় সংস্কারের কারিগর। মিতভাষী, অজাতশত্রু রাজনীতিবিদ। দেশের অন্যতম সেরা ব্যক্তিত্বের প্রয়াণের পরও আশ্চর্যজনকভাবে নীরব দেশের ক্রীড়ামহল এবং বিনোদন জগত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্য ন্যূনতম শোকবার্তাটুকুও দেননি খেলা এবং বিনোদুনিয়ার অধিকাংশ প্রথম সারির তারকা। যা নিয়ে এবার সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলছেন, এবার থেকে নিজেদের 'নায়ক' বেছে নেওয়ার আগে সাবধান হওয়া দরকার।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার সোশাল মিডিয়ায় ক্রীড়া এবং বিনোদন জগতের প্রথম সারির তারকাদের নিশানা করে বললেন, 'ভারত দেশের সেরা ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজনকে হারাল। যার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সংস্কারমুলক পদক্ষেপ ভারতের অর্থনীতি বদলে দিয়েছে। ভারতকে উন্নয়নের দিশা দেখাতে মনমোহন সিংয়ের ভূমিকা অদ্বিতীয়। তাঁর প্রয়াণে মতাদর্শ নির্বিশেষে ডান-বাম সবপক্ষ থেকেই শোকবার্তা এসেছে। কিন্তু এটা একই সঙ্গে আশ্চর্য এবং দুঃখজনক যে গোটা ক্রীড়া এবং বিনোদন দুনিয়ে মনমোহনের প্রয়াণে নীরব।'
অভিষেকের বক্তব্য, "যাঁদের আমরা নিজেদের রোল মডেল বলে মনে করি, মনমোহনের প্রয়াণের পর নীরবতা তাঁদের দায়িত্ববোধ, নৈতিকতা নিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করে।" তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দাবি, বিনোদন জগতের এই নীরবতা সম্ভবত সরকারের প্রতি ভীতির ফলশ্রুতি। আসলে জাতীয় কোনও ইস্যুতে নীরব থাকাটা এই তথাকথিত রোল মডেলদের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
অভিষেক মনে করালেন, এই তথাকথিত রোল মডেলরা সিএএ-এনআরসি, কৃষক বিক্ষোভের মতো ইসুতেও নীরবই থেকেছেন। মণিপুরের মতো ইস্যুতেও মুখ খোলেননি। এভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তাঁদের নীরবতা বোঝায় সাধারণ মানুষের জীবন-সংগ্রামে এঁরা কতটা নির্লিপ্ত। অথচ তাঁরা সব সম্মান এবং অর্থ সাধারণ মানুষের ভালোবাসার বলেই অর্জন করেছেন।" এরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আমজনতার কাছে আর্জি জানিয়েছেন, "নিজেদের রোল মডেল বাছুন সাবধানে। এই রোলমডেলদের কাছে এবার দায়িত্ববোধ আশা করা উচিত আমাদের।"