সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমাসের শেষে রথযাত্রা। প্রতিবছরের মতো এবারও পুরীতে জনারণ্য হতে চলেছে। আর সেই সময়ই বিশেষ অভিজ্ঞতা হতে চলেছে বহু আইআইটি, আইআইএম পড়ুয়াদের। না, তাঁরা তীর্থযাত্রী হিসেবে ওই রথযাত্রায় অংশ নেবেন না। দেশের সবচেয়ে বড় এবং বহুমাত্রিক আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ইন্টার্ন হিসেবে। ভিড়ের চরিত্র, আপৎকালীন পরিষেবা থেকে শুরু করে শৌচ পরিকাঠামোর মতো বহু বিষয়েই পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন তাঁরা।
কালেক্টর সিদ্ধার্থশংকর সোয়েন এই যাত্রাকে 'নিষ্ঠা ও সমন্বয়ের একটি অনুশীলন' হিসেবে বর্ণনা করে তিনি জানিয়েছেন, দেশের উজ্জ্বলতম মনগুলির কাছে এটা সুবর্ণ সুযোগ। পুরীর রথযাত্রার ব্যাপক ভক্ত সমাগমের মধ্যে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁদের মন ও শরীরের সমন্বয়কে বুঝতে শেখাবে। এই 'রিয়েল টাইম' প্রশিক্ষণ তাঁদের উন্নতির সহায়ক বলেই তাঁর বিশ্বাস বলে জানিয়েছেন তিনি।
এবারের পুরীর রথযাত্রার ব্র্যান্ডিংয়ের দায়িত্বে থাকা এজেন্সি 'চাইপানি' এই গোটা ইন্টার্নশিপটি পরিচালনা করবে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন, ''ভারতে সংস্কৃতি, ব্যবস্থাপনা এবং মানবিক আচরণ কীভাবে অভূতপূর্ব মাত্রায় পরিচালিত হয় তা শেখার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে এটা একটা বিরল সুযোগ। ভারতের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং এদেশের গণবাস্তবতার মধ্যে একটি সেতু নির্মাণে সাহায্য করতে পেরে আমরা গর্বিত।''
উল্লেখ্য, আগামী ২৭ জুন সকালে পুরীর পথে বেরবে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথ। সেই রথ যাবে গুন্ডিচা। সেখানে তাদের মাসির বাড়ি। একসপ্তাহ পরে, ৫ জুলাই পালিত হবে উলটো রথ। আগামিকাল অর্থাৎ ১১ জুন পালিত হবে স্নানযাত্রা। ১৫ দিন ধরে পালিত হবে ওই ধর্মীয় উৎসব।