সুব্রত বিশ্বাস: আইসোলেশনের নির্ধারিত সময় মানছে না রেল কর্তৃপক্ষ। ওয়েস্ট সেন্ট্রাল রেলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন রেলকর্তারা। গত মাসের শেষ দিকে পশ্চিম-মধ্য রেলের কোটা ডিভিশন কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েকজন ট্র্যাকম্যান। চিকিৎসকের পরামর্শমতো তাঁদের ১৪ দিনের জন্য পাঠানো হয় আইসোলেশনে। অভিযোগ, আইসোলেশনের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই তাঁদের কাজের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। এ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ট্র্যাকম্যানরা। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্যা কর্মীরাও।
সূত্রের খবর, গত ২১ মার্চ কোটা ডিভিশনে কাজ করতে গিয়ে কয়েকজন ট্র্যাকম্যান অসুস্থ হয়ে পড়েন। শরীরে করোনার উপসর্গ থাকায়, তাঁদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। কিন্তু ১৪ দিনের আইসোলেশন পর্ব শেষ হওয়ার আগে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই তাঁদের ৪ এপ্রিল কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয়। আদৌ কাজ করার মতো শারীরিক সুস্থতা রয়েছে কি না, তার জন্য কোনও স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে অন্য কর্মচারীরাও তীব্র প্রতিবাদ করেন। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্কও। এই ট্র্যাকম্যানদের সংস্পর্শে আসায় অন্য কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন, এই চিন্তায় পড়েন অন্যরা। আজ, শনিবার কোটার ডিআরএম পঙ্কজ শর্মার কোটা থেকে গঙ্গাপুর পর্যবেক্ষণ করার কথা। পশ্চিম-মধ্য রেল বিভাগের কর্তারা জানাচ্ছেন, ডিআরএম-এর পরিদর্শনের আগে রেল লাইন থেকে সিগন্যাল, কন্ট্রোল – সব যথাযথ রাখতেই ওই ট্রাকম্যানদের কাজে ডাকা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: তুষার ধসের কবলে পড়ে নিখোঁজ জওয়ান, উদ্ধারকাজ শুরু করল ভারতীয় সেনা]
দেশজুড়ে লকডাউনের মাঝে বিভিন্ন জায়গায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পাঠাতে রেল পার্সেল এক্সপ্রেস চালাচ্ছে। পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেল হাওড়া, শিয়ালদহ থেকে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, গুয়াহাটি, মালদহ, জামালপুরে পণ্য পরিবহণের জন্য চলছে পার্সেল এক্সপ্রেস। শুক্রবার পূর্ব রেল ৪১টি রেক আনলোড এবং ৩২টি রেক লোড করে বিভিন্ন দিকে পাঠিয়েছে। পণ্য আদান-প্রদানে সহযোগিতার জন্য হাওড়া ও শিয়ালদহে দুটি হেল্পলাইন খোলা হয়েছে রেলের তরফে। নম্বর- ৯০০২০২২৯৭৫ ও ৯০০২০৭১৯৫৭।
[আরও পড়ুন: ‘ঘরে ফিরতে চাই’, লকডাউন বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলতেই বিক্ষোভ কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিকের]
The post আইসোলেশনের নিয়ম না মেনে ডেকে পাঠানো হল কাজে, অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ রেলকর্মীদের appeared first on Sangbad Pratidin.
