সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম ধাপে আটটির পর দ্বিতীয় দফায় ১২টি। সংখ্যাবৃদ্ধির লক্ষ্যে ফের ভারতে চিতার (Cheetah) আগমন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এক ডজন চিতাকে নিয়ে ভারতের মাটি ছুঁয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। আর তাদের খাঁচাবন্দি করে মধ্যপ্রদেশের কুনোর অভয়ারণ্যে (Kuno National Park) ছাড়া হল। পুরনো আট চিতার সঙ্গে তারা থাকবে কুনোর জঙ্গলে। নতুন চিতাদের আগমনে এখন ভারতে আফ্রিকান (African)চিতার সংখ্যা দাঁড়াল ২০।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ (Johannesburg) থেকে চিতাদের আনতে ভারত পাঠিয়েছিল বায়ুসেনার বিমান C-17। তাতেই ১২ জন চিতাকে আনা হয়েছে। টানা ১০ ঘণ্টা বিমানযাত্রার পর গোয়ালিওরে নামে বিমানটি। জানা গিয়েছে, এই দীর্ঘ বিমানযাত্রায় চিতাদের নিরাপদে রাখতে জলের ফোঁটা দেওয়া হয় ও কলার পরিয়ে রাখা হয়। গোয়ালিওর (Gwalior)থেকে ফের এয়ারলিফট করে কালো ছোপ চারপেয়েদের নিয়ে যাওয়া হয় মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে। জঙ্গলে তাদের ছাড়া হবে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ও পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের হাত ধরে। জানা গিয়েছে, ১২টির মধ্যে পাঁচটি চিতা মহিলা (Female)। বাকিগুলি ৭ টি পুরুষ। নতুন পরিবেশে তারা মানিয়ে নিতে পারবে বলে আশাবাদী বনকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: ‘সোরস একগুঁয়ে, বিপজ্জনক ব্যক্তি’, আদানি ইস্যুতে মার্কিন ধনকুবেরকে বিঁধলেন জয়শংকর]
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে আনা হয়েছিল ৮টি চিতা। নিজের হাতে তাদের কুনো অভয়ারণ্যে ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। নামিবিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। আসলে ভারতে চিতার খরা কাটাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (MoU) হয়েছে ভারতের। সেই চুক্তি অনুযায়ীই, নতুন বছরে দ্বিতীয় দফায় জোহানেসবার্গ থেকে আনা হল ১২ টি চিতা। দেশের মাটিতে চিতা প্রজননের ক্ষেত্রে এরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেইসঙ্গে কুনো জাতীয় পার্কও বিশেষ পর্যটনস্থল হতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: শিশির অধিকারীর নামে ভুয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট! ‘ফাঁসানোর চেষ্টা’ বলছেন সাংসদ]
ভিনদেশি চিতাদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগেই বনকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ছিল। আবার নতুন করে আগামী ২০ তারিখ চিতা বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, পশু চিকিৎসক ও বনাধিকারিকদের নিয়ে কর্মশালা হবে কুনোয়। কারণ, এবার চিতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।