সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) কুপওয়াড়ায় (Kupwara) ভুয়ো জঙ্গি হানা ‘সাজানো’র (Fake militant attack) অভিযোগ উঠল দুই BJP কর্মীর বিরুদ্ধে। মিথ্যে হামলা সাজানোর অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিকদেরও। ঠিক কী ভাবে করা হয়েছিল ভুয়োর হামলার ছক সাজানোর পরিকল্পনা, সে সম্পর্কে দু’-এক দিনের মধ্যেই বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার।
কিন্তু কেন ভুয়ো হামলা সাজানোর মতলব করলেন ওই বিজেপি কর্মীরা? পুলিশ জানিয়েছে, নিজেদের নিরাপত্তা আরও খানিক বাড়াতেই এই পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। প্রধান অভিযুক্ত ইসফাক আহমেদ মীর কুপওয়াড়ার আইটি সেলের প্রধান। অপরজন বশরত আহমেদ দলের জেলা মুখপাত্র। তাঁরা নিজেদের মধ্যে শলাপরামর্শ করে ওই ভুয়ো হামলার ঘটনা সাজান বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মাঝেই এবার দেশে হানা Bird flu’র, প্রাণ হারাল ১১ বছরের বালক]
ইসফাকের বাবা মহম্মদ শাফি মীর কুপওয়ারায় বিজেপির জেলা সভাপতি। তাঁর ছেলের নামে এমন অভিযোগ ওঠার পরই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি। যতদিন এই ঘটনার তদন্ত চলবে ততদিন তিনি সাসপেন্ডই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? গত ১৬ জুলাই ইসফাক অভিযোগ করেন, কুপওয়াড়ার গুলগামে ত্রাণ বণ্টনে গিয়ে জঙ্গি হামলায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এমনকী জঙ্গিদের একটি গুলি তাঁর পায়ে এসেও বেঁধে বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। জানিয়েছে, সেদিন কোনও জঙ্গি হামলাই হয়নি ওখানে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, ইসফাকের নিরাপত্তা আধিকারিকের বন্দুক থেকেই দুর্ঘটনাবশত বেরিয়ে গিয়েছিল গুলি। এরপরই জঙ্গি হামলা সন্দেহে অন্য নিরাপত্তা আধিকারিকরাও গুলি চালান।
[আরও পড়ুন: লাফিয়ে বাড়ল দেশের দৈনিক Corona সংক্রমণ, একদিনে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল ১০ গুণ!]
কিন্তু পরে সামনে আসে আসল সত্য। জানা যায়, ইসফাক, বশরত ও তাঁদের নিরাপত্তা আধিকারিকরা মিলেই ওই ভুয়ো হামলা সাজিয়েছেন। অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে তাঁদের সাত দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।