সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠান্ডা লড়াই পরবর্তী বিশ্বে দ্রুত বদলে যাচ্ছে সমীকরণ। চিনের (China) উত্থানে কূটনীতি ও সমরনীতিতে এসেছে বিস্তর পরিবর্তন। নেহেরু জমানার জোট নিরপেক্ষ নীতি ত্যাগ করে পশ্চিমের দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছে নয়াদিল্লি। এহেন পরিস্থিতিতে এবার ভারতীয় নৌসেনার সঙ্গে নয়া সম্পর্কের সূচনা করতে চলেছে ব্রিটিশ নৌবাহিনী (British Navy)।
[আরও পড়ুন: Kanwar Yatra নিয়ে যোগী সরকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, সায় কেন্দ্রেরও]
ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করেছে ব্রিটিশ নৌবহর। যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজ ‘HMS Queen Elizabeth’-এর নেতৃত্বে ভারতীয় রণতরীগুলির সঙ্গে মহড়া চালাবে ব্রিটিশ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ। বলে রাখা ভাল, একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে থাকে সাবমেরিন, ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ারের মতো বেশ কয়েকটি রণতরী। এগুলোকে মিলিয়ে বলা হয় ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ’। এই বিষয়ে ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স এলিস বলেন, “ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ পাঠানো ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার শক্তিশালী প্রদর্শন। গুরুগ্রামে ভারতীয় নৌসেনার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করবেন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর অফিসার।”
উল্লেখ্য, ভারত মহাসাগরে লাগাতার আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিন। পাকিস্তানে ও শ্রীলঙ্কার বন্দরগুলিতে চিনা রণতরীর আনাগোনা লেগেই আছে। এহেন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর মহড়া ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে নয়া সামরিক সম্পর্কের সূচনা করল বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের। তবে উদ্বেগজনক ভাবে, ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ফ্ল্যাগশিপ রণতরী ‘HMS Queen Elizabeth’-এর অন্তত ১০০ জন নাবিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও এরা সকলেই ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তাঁদের শরীরে হানা দিয়েছে ভাইরাস। যুদ্ধবিমানবাহী জাহাজটিতে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ৭০০ জন। ফলে রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মহলে। কয়েকদিন আগে ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসের লিমাসসোল শহরে ‘ফুর্তি করতে’ যান রণতরীটির বেশ কয়েকজন নাবিক। সেখান থেকেই তাঁদের শরীরে প্রবেশ করে করোনা ভাইরাস। ফলে ওই জাহাজ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলেও অনেকে মনে করছেন।