সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে যদি এ পর্যন্ত কোনও গণআন্দোলন বিব্রত করে থাকে, সেটা কৃষক বিক্ষোভ। ২০২১ সালে কৃষকদের আন্দোলনের জেরে কৃষি আইন প্রত্যাহারও করতে হয় কেন্দ্রকে। কিন্তু তারপরও সমস্যা মেটানো যায়নি। এখনও পাঞ্জাব-হরিয়ানার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কেন্দ্রবিরোধী বিক্ষোভে কৃষকরা। কৃষক নেতা জগজিৎ সিং দাল্লেওয়াল এখনও অনশনে। এই পরিস্থিতিতে কৃষক অসন্তোষ মেটাতে বাজেটে কল্পতরু হতে পারেন নির্মলা সীতারমণ।
এমনিতে সরকার গঠনের পর প্রথম দিককার বাজেটে সেভাবে জনমোহিনী প্রকল্প ঘোষণা করে না সরকার। ওই বাজেটগুলি মূলত সংস্কারমুখী হয়। কিন্তু কৃষক অসন্তোষে প্রলেপ দিতে এবার কৃষিক্ষেত্রে একাধিক বড় ঘোষণার সম্ভাবনা খারিজ করে দিচ্ছে না অর্থনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, কৃষিক্ষেত্রে আধুনিকীকরণ, সংস্কারে যেমন বাজেটে জোর দেওয়া হচ্ছে তেমনই জোর দেওয়া হবে কৃষকদের আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে।
বস্তুত কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি এমএসপির আইনি গ্যারান্টি নিশ্চিত করা। বাজেটে এভাবে আইনি গ্যারান্টির কথা ঘোষণা করা না গেলেও বেশ কিছু ফসলের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য বাড়ানো হতে পারে। মোদি সরকারের আমলে সার এবং কীটনাশকের দাম হু হু করে বেড়েছে। সেটাতেও এবার বাজেটে রাশ টানার চেষ্টা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সার ও কীটনাশকে ভরতুকি বাবদ বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করতে পারে সরকার। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি বাড়ানোর দাবিও দীর্ঘদিনের। যদিও সে নিয়ে এখনই কোনও পদক্ষেপ করা হবে কিনা, সেটা স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, এখনও এমএসপির আইনি স্বীকৃতি-সহ মোট পাঁচটি দাবিতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। দীর্ঘদিন ধরে পাঞ্জাবে অনশনে কৃষক নেতা দাল্লেওয়াল। এমনকী সুপ্রিম কোর্টও কৃষকদের বিক্ষোভ নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধেছে। শীর্ষ আদালত একপ্রকার বলে দিয়েছে, কৃষক আন্দোলন দমন করার কোনও সদিচ্ছাই সরকারের নেই। এই পরিস্থিতিতে কৃষক বিক্ষোভের ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দিতে একাধিক বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।