সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আত্মনির্ভর’ ভারত (India) গড়ার পথে ফের বড়সড় সাফল্য। প্রথমবার মেরামতির জন্য ভারতে এল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ চার্লস ড্রিউ (Charles Drew)। রবিবার চেন্নাইয়ের কাট্টুপাল্লিতে লারসেন অ্যান্ড টিউব্রোর বন্দরে এসেছে জাহাজটি। এর ফলে ভারতীয় বন্দরগুলির পরিষেবা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হবে আন্তর্জাতিক মহলে। গোটা ঘটনাকে ভারতীয় জাহাজ প্রস্তুতির ইতিহাসে ‘রেড লেটার ডে’ হিসাবে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার, নৌসেনার ভাইস চিফ এসএন ঘোরমাদে-সহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক চেন্নাইয়ে মার্কিন জাহাজকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন। মার্কিন প্রশাসনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন সেখানে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রথমবার কোনও মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে ভারতে পাঠানো হয়েছে মেরামতির জন্য। লারসেন অ্যান্ড টিউব্রোকে (Larsen and Tubro) জাহাজ মেরামতির বরাত দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে স্বাগত জানানোর পরে প্রতিরক্ষা সচিব জানিয়েছেন, “মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ চার্লস ড্রিউ ভারতে আসায় আমরা খুবই খুশি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেই আমাদের ধারণা। তবে এটাই শুরু। আগামী দিনে দুই দেশের মধ্যে এধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ভারতের জাহাজ তৈরির প্রযুক্তি যে আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনীর (US Navy) জাহাজ আসায় সেটাই প্রমাণিত হল।”
[আরও পড়ুন: ‘উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তুচ্ছ কারণে ভোট দেয়নি’, দলীয় মুখপত্রের দায়িত্ব নিয়ে TMC’কে নিশানা উদ্ধবের]
অজয় আরও জানিয়েছেন,”শুধুমাত্র নিজেদের প্রয়োজনের জন্যই জাহাজ বানাচ্ছি না আমরা। যে কোনও ধরনের জাহাজ বানানোর পরিকাঠামো রয়েছে ভারতের কাছে। তার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল আমাদের দেশে তৈরি আইএনএস বিক্রান্ত। নতুন প্রযুক্তিকেও সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে উন্নতমানের জাহাজ বানানোর কাজ চলছে।” ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে নানা ক্ষেত্রে সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন অজয়।
প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলে দাপট বজায় রাখার জন্য ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে বেশ উদ্যোগী আমেরিকা। সেই কারণেই নানা ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান মনোমত না হলেও দিল্লির বিরোধিতা করেনি আমেরিকা। ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প যেন সাফল্যমণ্ডিত হয়, সেই কথা মাথায় রেখে নৌবাহিনীর জাহাজ মেরামতির জন্য ভারতে পাঠানো হয়েছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সবমিলিয়ে, আগামী দিনে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেই অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।