সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমা হায়দার (Seema Haider) আসলে কে? ভারতীয় প্রেমিকের টানে সীমান্ত পার করে আসা সাধারণ বধূ, না কি পাক গুপ্তচর! দিনে দিনে রহস্য বাড়ছে বৈ কমছে না। এবার উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা দুই যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অভিযোগ, শচীন-সীমার বিয়ের জন্য ভুয়ো নথি জোগাড় করে দিয়েছিল অভিযুক্তরা।
এখন সীমার পরিচয়ের জট ছাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটিএসের কাছে। সেই খোঁজে ইতিমধ্যে পাক বধূ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য পাঠানো হয়েছে দিল্লির (Delhi) পাকিস্তানি দূতাবাসে (Pakistan Embassy)। তখনই শচীন-মিনার আধার কার্ড-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি বদলানোর অভিযোগে দুই যুবক পুষ্পেন্দ্র এবং পবনকে আটক করেছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তুষ্ট না হওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁদের। তাঁদের কাছ থেকে ১৫টি ভুয়ো আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: মণিপুরের পাশে দাঁড়াতে কালো পোশাক I.N.D.I.A সাংসদদের, মোদিকে নিশানা তৃণমূলের]
পুলিশের দাবি, শচীন-সীমার বিয়ের জন্য ভুয়ো নথি জোগাড় করে দেওয়ার পাশাপাশি দুই যুবক ভুয়ো নথি বানানোর একটি চক্র চালাতেন। এদিকে ভুয়ো নথির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পাক বধূর সঙ্গে ভারতীয় যুবকের বিয়ে নিয়ে সন্দেহ তীব্র হচ্ছে পুলিশের। সীমা এবং শচীন দাবি করেছিলেন, নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পুষ্পেন্দ্র এবং পবন ধরা পড়ায় ওই বক্তব্যের সত্যাসত্য নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
[আরও পড়ুন: মোদি-যোগীর আধারের তথ্যবদল যুবকের! গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
প্রসঙ্গত, ভিডিও গেম পাবজি খেলার সূত্রে আলাপ। নয়ডার (Noida) বাসিন্দা শচীনের প্রেমে পড়ে ভারতে এসেছেন, এমনটাই দাবি পাক যুবতী সীমা হায়দারের। নেপাল ঘুরে অবৈধভাবে ভারতে আসার অভিযোগে তাঁকে ৪ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে জামিন পেয়ে শচীনকে বিয়ে করেন। চার সন্তানকে নিয়ে নতুন শ্বশুরবাড়িতে সংসার শুরু করেন। তবে সীমার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও চলছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পাক যুবতীর উদ্দেশ্য নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে।