সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো। স্বীকৃতি ছাড়াই নিজেদের তৈরি পণ্যকে ওষুধ বলে বিক্রি। ফের বিস্ফোরক অভিযোগ রামদেবের (Ramdev) সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে। সংস্থার পাঁচটি ‘ওষুধ’ তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল উত্তরাখণ্ড সরকার।
উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটি সম্প্রতি দিব্যা ফার্মেসিকে একাধিক ‘ওষুধ’ তৈরি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোটিস ধরিয়েছে। এই দিব্যা ফার্মেসিতেই রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির ওষুধগুলি তৈরি হত। সংস্থাকে বলা হয়েছে, বিপিঘৃত, মধুঘৃত, থাইরোঘৃত, লিপিডোম এবং আইঘৃত গোল্ড ট্যাবলেটের উৎপাদন বন্ধ করতে। এই ওষুধগুলি পতঞ্জলি (Patanjali) রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, গয়টার, গ্লুকোমা, উচ্চ কোলেস্টরেলের ওষুধ বলে বিক্রি করত। এই মর্মে বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ভারতীয় পড়ুয়ারা পড়াশোনা শেষ করুক রাশিয়ায়, ‘বন্ধু’ ভারতকে প্রস্তাব মস্কোর]
কিন্তু এই ওষুধগুলির প্রক্রিয়াকরণ এবং এর উপযোগিতা আসলে পরীক্ষিতই নয় বলে উত্তরাখণ্ডের আয়ুর্বেদ ও ইউনানি লাইসেন্সিং অথরিটি সূত্রের খবর। এই ওষুধগুলির ক্ষেত্রে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে তা যথাযথ নয় বলেও দাবি করা হয়েছে। কেরলের এক চিকিৎসক পতঞ্জলির বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করেছিলেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতেই পতঞ্জলির ওই ওষুধগুলির উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। রামদেবের সংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ওষুধগুলির জন্য নতুন করে তাঁদের অনুমোদন নিতে হবে। তারপরই তারা এগুলি উৎপাদন করতে পারবে। এমনকী ওই ওষুধগুলির বিজ্ঞাপনও দ্রুত বন্ধ করতে হবে। নতুন করে অনুমোদন মিললেই একমাত্র বিজ্ঞাপন চালানো যেতে পারে।
[আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়ে গেল রাজীব হত্যায় দোষী নলিনী-সহ ৬, সাজা মকুব সুপ্রিম কোর্টের]
আসলে, যোগগুরু রামদেব এবং বিতর্ক যেন সমার্থক। বিশেষ করে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি নিয়মিত খবরের শিরোনামে থাকে। এর আগে করোনার প্রকোপ যখন চূড়ান্ত তখন এই পতঞ্জলিই করোনিল (Coronil) নামের একটি ওষুধ তৈরি করে। সেটিকে করোনার ওষুধ বলে বিক্রিও শুরু করে দেয়। পরে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রকই সেই ওষুধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এবার আরও পাঁচ ওষুধে নিষেধাজ্ঞা জারি হল ওই সংস্থার।