সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: তাজপুর বন্দরের (Tajpur Port) কাজ কি আদৌ করবে আদানি গোষ্ঠী? নাকি গ্লোবাল টেন্ডারের মাধ্যমে অন্য কোনও গোষ্ঠীর হাতে উঠবে বাংলায় গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির বরাত? সদ্যসমাপ্ত বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে (BGBS) মুখ্যমন্ত্রীর এক মন্তব্যের জেরে নতুন করে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিল্প মহলে। এ বিষয়ে অন্ধকারে আদানি গোষ্ঠীও। কাজ শুরুর পথে অনেকটা এগিয়ে গেলেও কয়েকটি বিষয়ের জন্য তাজপুরে এখনও কাজ শুরু হয়নি। আর সেসব নিয়ে সরকারের সম্মতির অপেক্ষায় শিল্পপতি গৌতম আদানির (Gautam Adani) সংস্থা। তারই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাণিজ্য সম্মেলনের মাঝে তাজপুর বন্দরের জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ঘোষণা করায় জটিলতা বেড়েছে। তবে রবিবার দিল্লি থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এনিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)।
রবিবার দিল্লির (New Delhi) প্রগতি ময়দানে শিল্পমেলায় সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তাজপুর বন্দরে আদানি গোষ্ঠীর কাজ নিয়ে প্রশ্ন করায় তাঁর সাফ জবাব, ”বিরোধীরা এনিয়ে যা বলছে, তা না বুঝে বলছে। কোনও তথ্যও নেই তাদের কাছে। তাই একেবারে ভিত্তিহীন কথাবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু তাজপুর বন্দরের কাজ নিয়ে রাজ্য সরকার ও আদানিদের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। কাজ শুরু করতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয়। সেসব নিয়েই কথা চলছে। গুজবে কান দেওয়ার দরকার নেই।” তবে কি কাজ এগোচ্ছে? নাকি থমকে গিয়েছে? এর জবাবে শশী পাঁজার একই মন্তব্য, কথাবার্তা চলছে।
[আরও পড়ুন: প্রেমের প্রস্তাবে ‘না’, রাগে তরুণীকে কুপিয়ে মেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী যুবক!]
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদানি পোর্টস এবং স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোন তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দরের বরাত পায়। কিন্তু বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছেন, ওই বন্দরের জন্য নতুন টেন্ডার ডাকা হবে। এখন আদানি গোষ্ঠী অন্ধকারে। সংস্থার ওই শীর্ষকর্তা এও জানিয়েছেন যে, রাজ্য এখনও তাজপুর বন্দরে তাঁদের কাজ করার অনুমতিপত্রও দেয়নি তাদের। ফলে কাজও শুরু করা যায়নি। চুক্তি বাতিল হলে হয়তো আর আদৌ কাজ হবে না। কিন্তু এদিন শশী পাঁজা তাজপুর বন্দর ও আদানিদের চুক্তি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা উড়িয়ে রাজ্যের ভূমিকা স্পষ্ট করলেন।