সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিএ (DA)মামলায় ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন জানানো হয়েছে এই মর্মে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ডিএ দিতে হলে রাজ্য বড়সড় আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তাই তা দেওয়া এখনই সম্ভব নয়। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী একথা জানিয়েছেন। এই মামলার জেরে ডিএ প্রাপ্তি আরও বিলম্বিত হল।
কেন্দ্রীয় হারে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে, এই দাবিতে হাই কোর্টে (Calcutta HC) মামলা হয়েছিল। হাই কোর্টের রায় ছিল, এতদিনের বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চেও যায় রাজ্য। তবে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চও একই রায় বহাল রাখে। কেন্দ্রীয় হারে অর্থাৎ ৩১ শতাংশ হারে বকেয়া ডিএ দেওয়ার জন্য ৩ মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তা মেলেনি। আজ পর্যন্ত ছিল সময়সীমা।
[আরও পড়ুন: তরুণীকে কুপ্রস্তাবের জের, দলের নির্দেশ মেনে ইস্তফা দিলেন দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান]
সময় পেরনোর পরও ডিএ না পাওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা হয়। কিন্তু তাতেও রাজ্য সরকার ডিএ দিতে নারাজ। আদালতে জানানো হয়েছে, এই হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই হাই কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনও জানাতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু আদালত সেই মামলা গ্রাহ্য করেনি। কড়া নির্দেশ ছিল, বকেয়া ডিএ মেটাতেই হবে।
[আরও পড়ুন: গুজরাট নির্বাচনে আম আদমি পার্টির মুখ প্রাক্তন সাংবাদিক ইসুদান, ঘোষণা কেজরিওয়ালের]
সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। দায়ের করা হয়েছে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন (Leave Petition)। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ডিএ দিতে হলে রাজ্য বড়সড় আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তাই তা দেওয়া এখনই সম্ভব নয়। তবে রাজ্য শীর্ষ আদালতে যাওয়ার আগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করেছিল ডিএ প্রাপক কর্মচারী সংগঠন। এদিন লিভ পিটিশনের কপি কর্মী সংগঠনগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।