সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি হামলায় আবারও রক্তাক্ত উপত্যকা। সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত এই হামলায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজন। জেদ্দা থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কাশ্মীরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সব মিলিয়ে যখন সবে জম্মু ও কাশ্মীরের ঘুরে দাঁড়ানোর যে সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল তা কার্যতই থমকে গেল যেন! প্রশ্ন উঠছে, কেন অন্য কোথাও নয় পহেলগাঁওয়েই হামলার ছক কষল জঙ্গীরা? পিছনে রয়েছে কোন ষড়যন্ত্র?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর পিছনে প্রধান উদ্দেশ্য দু'টি। আগামী জুলাই মাসেই অমরনাথ যাত্রা। সেই সময় পুণ্যার্থীরা যে পথ দিয়ে যাবেন তার মধ্যে পহেলগাওঁয়ের এই রাস্তাটি পড়ে। এবার সেখানেই হামলা চালিয়ে আদ্যন্ত এক আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করে দেওয়া হল। অন্যদিকে, পর্যটকদেরই টার্গেট করে পর্যটন ব্যবসার জন্য কাঁটা প্রস্তুতও করা গেল। আসলে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হলে স্বাভাবিক ভাবেই পিছু হটবেন পর্যটকরা। এতে পর্যটন শিল্পে চাপ পড়বে। এভাবেই একটি হামলার নেপথ্যে জঙ্গীদের সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রকে প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদের থাবা ক্রমেই আলগা হচ্ছে বলে মোদি সরকার দাবি করে। জম্মু ও কাশ্মীরের যুবসমাজ বোমা, পাথর, বন্দুক ছেড়ে মূলধারায় ফিরছেন বলেই দাবি তাদের। তবে সাম্প্রতিক অতীতে যে উপত্যকায় জঙ্গি হামলা হয়নি তা নয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভিনরাজ্যের শ্রমিকরাই তাদের নিশানায় থেকেছেন। অথবা সেনা জওয়ানরা। কিন্তু এবার রিসর্টে ঢুকে গুলি চালিয়ে জঙ্গিরা যেন বার্তা দিতে চাইছে জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকরা নিরাপদ নন।
এদিকে মঙ্গলবারই দু’দিনের বিদেশ সফরে সৌদি আরবে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকেই জঙ্গি হামলার নিন্দা করে মোদি লিখেছেন, “জম্বু-কাশ্মীরের জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারালেন, তাঁদের জন্য সমবেদনা। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। এই জঘন্য কাজে জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আরও শক্তিশালী হবে।”
