সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে অপারেশন সিন্ধু। শনিবার সকালে শতাধিক ভারতীয়কে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। গত বুধবার থেকেই এই অপারেশন শুরু করেছে নয়াদিল্লি। যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি থেকে দেশে ফিরে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে ভারতীয় পড়ুয়া এবং তীর্থযাত্রীরা। তড়িঘড়ি দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে চর্চায় অপারেশন সিন্ধু। কিন্তু এমন নামকরণ কেন?
অপারেশন সিন্ধু নাম কেন?
এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনও কারণ অবশ্য জানানো হয়নি। তবে 'সিন্ধু' শব্দটির সংস্কৃত অর্থ নদী বা সাগর। এপ্রসঙ্গে সিন্ধু নদের কথা উল্লেখ্য। ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান এই নদীর অবস্থান এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। বলে রাখা ভালো, উদ্ধার করে আনা ১১০ জন ভারতীয়ের মধ্যে ৯০ জনই জম্মু ও কাশ্মীরের। ইরানের উরমিয়া মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ডাক্তারি পড়ছিলেন তাঁরা। তাঁদের শ্রীনগরের বিমানের টিকিট খরচও দিয়েছে মোদি সরকার।
ইরানে প্রায় ১৩ হাজারেরও বেশি ভারতীয় পডুয়া রয়েছে। অধিকাংশই মেডিক্যাল পড়তে সেখানে গিয়েছেন। তাঁদের সিংহভাগই জম্মু ও কাশ্মীরের। ইরান-ইজরায়েলের সংঘাত শুরু হওয়ার পরই কাশ্মীরে বিক্ষোভ মিছিলও বেরিয়েছিল সেই কারণে। এবার অপারেশন শুরুতেই জম্মু-কাশ্মীর স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিদেশমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানানো হয়েছে। তিব্বত থেকে যাত্রা শুরু করে জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় সিন্ধু। এই ভৌগোলিক অবস্থান ও ইরানে কাশ্মীরি পড়ুয়াদের সংখ্যাধিক্যের কারণেই অপারেশন সিন্ধু নামকরণ বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও সিন্ধু থেকেই ভারতের নাম 'হিন্দুস্তান'। কাজেই ভারতের অপরাশনের নামকরণে 'সিন্ধু' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে- এমনটাও হতে পারে।
উল্লেখ্য, শুরুর দিকে ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে সমস্যা হচ্ছিল কারণ ইরানের আকাশসীমা বন্ধ ছিল। প্রাথমিক পর্বে ১১০ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে যুদ্ধজর্জর ইরান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে পড়ুয়া এবং তীর্থযাত্রী মিলিয়ে প্রায় হাজারখানেক ভারতীয় ইরানে আটকে।
