সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেস্তরাঁয় (Resturant) প্রবেশ নিয়ে নানা সময় নানা বিতর্কের খবর মিলেছে। কখনও ক্যাজুয়াল পোশাক, কখনও ধুতি-পাঞ্জাবি পরা ক্রেতাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। কখনও আবার ভাষাগত সমস্যার কারণে রেস্তরাঁয় ঢুকতে পারেননি কেউ। সেই তালিকা এবার আরও লম্বা হল। এবার হুইলচেয়ার নিয়ে গুরুগ্রামের এক নামী রেস্তরাঁয় গিয়ে কর্মীদের দুর্ব্যবহারের শিকার হলেন এক তরুণী। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)তিনি তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। আর তা নিয়েই নিন্দার ঝড় নেটপাড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায় ছড়িয়ে পড়েছে সমালোচনা। চাপের মুখে পড়ে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ।
তরুণীর নাম সৃষ্টি। তিনি বিশেষভাবে সক্ষম (Specially abled) । নিত্যসঙ্গী হুইলচেয়ার (Wheel chair)। বহুদিন পর বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন সৃষ্টি। হরিয়ানার (Haryana)গুরুগ্রামের ‘রাস্তা’ নামের রেস্তরাঁটি বেশ বিখ্যাত। পরিবেশও মনোমুগ্ধকর। তাই বন্ধুদের নিয়ে সেখানে যাওয়াই স্থির করেন তরুণী। মহানন্দে সেখানে পৌঁছনোর পরই অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। ইনস্টাগ্রামে গোটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন সৃষ্টি।
[আরও পড়ুন: ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি তোলা ‘সাহসিনী’ মুসকানকে পুরস্কৃত করলেন আমির-সলমন?]
সপ্তাহান্তে কিছুটা ভিড় ছিল ‘রাস্তা’য়। সৃষ্টির বক্তব্য অনুযায়ী, সেখানে পৌঁছে তাঁর এক বন্ধুর ভাই যখন টেবিল বুক করতে যান, তখন প্রথমে কথাই বলেননি রেস্তরাঁর সামনে থাকা কর্মী। তৃতীয়বারের ডাকে সাড়া দিলেও সাফ জানিয়ে দেন, হুইলচেয়ার নিয়ে ভিতরে খেতে যাওয়া যাবে না। অবাক হয়ে সৃষ্টির বন্ধুর ভাই এহেন মন্তব্যের কারণ জানতে চান। তাঁকে জানানো হয়, হুইলচেয়ারে বসা তরুণীকে দেখে রেস্তরাঁর অন্যান্য ক্রেতারা বিরক্ত হতে পারেন, তাঁদের ‘মুড’ নষ্ট হতে পারে। একথা শুনে চূড়ান্ত অপমানিত হন সকলে। সৃষ্টির পাশে দাঁড়িয়ে তাঁরা নীরব প্রতিবাদস্বরূপ রেস্তরাঁয় না খেয়ে ফিরে যান। বাড়ি ফিরে গোটা ঘটনা সৃষ্টি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: মুম্বই বিমানবন্দরে ক্যানসার আক্রান্ত মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার ৬০ কোটি টাকার মাদক]
এ নিয়ে নেটদুনিয়ায় তোলপাড় হওয়ায় ‘রাস্তা’ রেস্তরাঁর অন্যতম শরিক গৌমতেশ সিং ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। টুইটারে তিনি পালটা জানান, “আমরা ঘটনার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। আমরা ওই তরুণীর কাছে ক্ষমা চাইছি। ভবিষ্যতে আর কোনও কারণেই যাতে কাউকে এভাবে ফিরতে না হয়, সেইদিকটা আমরা দেখব। এছাড়া আমরা আভ্যন্তরীণভাবে ঘটনায় পদক্ষেপ করছি। সকলকে কথা দিচ্ছি, আর কখনও এমন ঘটনা ঘটবে না।” কিন্তু ততক্ষণে রেস্তরাঁর বদনাম যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।