সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০ টাকার বিনিময়ে সাত বছরের নাতিকে 'বিক্রি' করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুমার বিরুদ্ধে। ওড়িশায় বাদলিয়া গ্রামের এই ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নেমেছে প্রশাসন। যদিও ঠাকুমা দাবি করেছেন, 'কে নাতির দেখাশোনা করবে, কে খাওয়াবে', সেকথা ভেবেই নাকি এই 'নিষ্ঠুর' সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

অভিযুক্ত ঠাকুমা বছর পঁয়ষট্টির মাঁদ সোরেন। বৃদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০ টাকার বিনিময়ে এক অজ্ঞাতপরিচয় দম্পতির হাতে নাতিকে তুলে দিয়েছেন তিনি। এই খবর পৌঁছায় শিশুকল্যাণ দপ্তর এবং পুলিশের কাছে। এরপরই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। যদিও বৃদ্ধা জানিয়েছেন, নাতি যাতে ভালো ভাবে খেয়ে-পরে থাকতে পারে, তার জন্যই ওই দম্পতির হাতে তুলে দিয়েছেন।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে মাঁদের ভাগ্য বিড়ম্বনার কথা। তাঁর নিজের কোনও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। অনেক আগে স্বামী মারা গিয়েছেন, একমাত্র ছেলে নিখোঁজ। কোভিডের সময় পুত্রবধূর মৃত্যু হয়েছে। একমাত্র সম্বল নাতি। ছোট্ট নাতির দেখাশোনা করার মতো শারীরিক সামর্থ্য বা আর্থিক জোর, কোনওটাই নেই তাঁর। কোনও মতে ভিক্ষে করে নাতি ও নিজের গ্রাসাচ্ছাদন করতেন। কিন্তু ক্রমশ শরীর ভেঙে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নাতির ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এক দম্পতির হাতে তুলে দিয়েছিলেন শিশুটিকে।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ওড়িশার ডাবল ইঞ্জিন গেরুয়া সরকারের সমালোচনা শুরু হয়েছে। যদিও বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তাঁর বাড়ি বানিয়ে দেওয়া, বিধবা ভাতার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে আপাতত বারিপদা শিশুসুরক্ষা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।