সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী পরকীয়ায় মজে। সেই সন্দেহে স্বামীকে খুন করে দেহ ২২ টুকরো করল স্ত্রী ও ছেলে। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি দিল্লিতে (Delhi)। সোমবার অভিযুক্ত মহিলা ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) অপরাধদমন শাখা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, মৃতের ছেলে দিল্লির পাণ্ডবনগর এলাকায় দেহর টুকরো ছড়াচ্ছে।
দিল্লির পাণ্ডবনগরের বাসিন্দা অঞ্জন দাস। স্ত্রী পুনম ও ছেলে দীপককে নিয়ে তাঁর সংসার ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, জুন মাসে পূর্ব দিল্লির পাণ্ডবনগর এলাকা থেকে কাটা দেহাংশ উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু মৃতের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের কিনারা করে দিল্লি পুলিশ। গত মে মাসে একই কায়দায় শ্রদ্ধাকে খুন করে, তার দেহ ৩৫ টুকরো করে দিল্লিজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছিল তার প্রেমিক আফতাব। কয়েক সপ্তাহ আগে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে খুনের কিনারা করেছিল পুলিশ। সেই একই কায়দায় পাণ্ডবনগর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া দেহাংশের রহস্যভেদ করতে উঠেপড়ে লাগে দিল্লি পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বিজেপি সাংসদের গাড়ির ধাক্কায় ৯ বছরের শিশুর মৃত্যু, যোগীরাজ্যে তীব্র চাঞ্চল্য]
সোমবার মৃতের স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা দিয়েছে, স্ত্রী পুনমের সন্দেহ ছিল অঞ্জন বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সেই সন্দেহের বশে তাঁর খাবারের ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় পুনম ও দীপক। তারপর ঠান্ডা মাথায় ঘরের মধ্যে খুন করা হয় তাঁকে। এরপর সেই দেহ ২২ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেয় তারা। পরে সময় সুযোগ বুঝে পাণ্ডবনগর চত্বর ও তার আশেপাশে দেহের টুকরো ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবি ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ধৃত পুনম জানিয়েছেন. অঞ্জন সন্তানদের যত্ন নিতেন না। তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করত। তাই ছেলে দীপক ছুরি মেরে হত্যা করে অঞ্জনকে। পুনমের দাবি, তিনি একাজ করেননি।
এদিকে কানপুরে এক নাবালিকাকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার হল এক যুবককে। জানা গিয়েছে, কানপুরের এক নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল মহম্মদ ফিরোজ। রাজি না হওয়া খুনের হুমকি দিয়েছিল সে। এরপর মেয়েটির বাড়ি থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।