সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি-২০ সামিট এড়িয়ে গেলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সীমান্ত সংঘাতের আবহে ভারতকে বার্তা দিতেই কী এই পদক্ষেপ? দিল্লি-বেজিং সম্পর্কে বরফের আস্তরণ যে আরও পুরু হয়েছে এটাই কি বোঝাল শি’র অনুপস্থিতি? এহেন একাধিক সওয়াল নিয়ে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাঁর কথায়, প্রতিনিধিত্ব কে করবেন তা সংশ্লিষ্ট দেশ ঠিক করে।
বুধবার ভারতের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় ভারচুয়াল জি-২০ সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-সহ অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানরাও। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মাঝে হওয়া এই মেগা বৈঠকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। এহেন মঞ্চে কেন হাজির ছিলেন না জিনপিং তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ভারতের নেতৃত্বে হওয়া এই সম্মেলনে নিজে না থেকে দিল্লিকে কড়া বার্তা দিয়েছেন জিনপিং। পূর্ব লাদাখ-সহ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে নিজের অবস্থান থেকে একচুলও নড়বে না বেজিং সেটাই স্পষ্ট। শি’র অনুপস্থিতিতে এই মেগা সামিট অনেকটাই ফিকে।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধ থামলেও ফেরা হবে না ‘বাড়ি’, পণবন্দি হয়েই মৃত্যু ইজরায়েলি বৃদ্ধার]
এই প্রসঙ্গে জয়শংকর সাফ বলেন, “প্রতিনিধিত্ব কে করবেন তা সংশ্লিষ্ট দেশ ঠিক করে। ভারচুয়াল সামিটে চিনের তরফে প্রিমিয়ার লি কিয়াং ছিলেন। এর আগে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে তিনিই বেজিংয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। এবারও তিনিই ছিলেন।”
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকেই পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল হয়ে ওঠে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার এলাকাগুলোতে। সেখানেই অল্পের জন্য যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পায় পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ। তবে লাগাতার আলোচনার মাধ্যমে ২০২১ সালে প্যাংগং (Pangong) থেকে ফৌজ সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশ। এবার গোটা পূর্ব লাদাখ জুড়ে সেনা প্রত্যাহারের উদ্দেশে আলোচনা চলছে দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে। এই প্রেক্ষাপটে জি-২০ সম্মেলনে জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশ্লেষকদের।