হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। পুরনো প্রবাদটিকে মনে করালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যের প্রশাসনের প্রধান থাকার পরও তিনি ভোলেননি লক্ষ্যভেদ। ভাটি বিহার কলোনির মিনি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের উদ্বোধনে এসে প্রথমবারেই বন্দুক হাতে অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ করলেন তিনি।
বরাবরই খেলাধুলোয় প্রবল আগ্রহ যোগীর। বিশেষত দেশের ঐতিহ্যগত খেলা এবং শুটিং। এর আগে সেনার প্রদর্শনীতে গিয়েও তাঁকে হাতে বন্দুক তুলে নিতে দেখা গিয়েছে। অথবা কোনও ক্রীড়াকেন্দ্রের উদ্বোধনেও লক্ষ্যভেদের খেলায় মেতে ওঠা তাঁর কাছে নতুন নয়। সেই একই ধারা বজায় রেখে গোরক্ষপুরের ভাটি বিহার কলোনিতে মিনি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের উদ্বোধনে গিয়েও তাঁকে দেখা গেল ১০ মিটার রাইফেল শুটি রেঞ্জে নেমে পড়তে। আর প্রথমবারই তাঁর ছোড়া গুলি গিয়ে বিঁধে গেল 'বুলস আই'-তে। যা দেখে হাততালিতে ফেটে পড়ে চারপাশ। যোগীর মুখেও দেখা যায় হাসি। অনেকেরই মনে পড়ছিল গোরক্ষপুরেই সেনার স্কুলে এবং মিনি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পুরনো ভবনেও বন্দুক হাতে ভেলকি দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই মুহূর্তে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের প্রস্তুতি নিয়ে প্রবল উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী আদিত্যনাথ রয়েছেন সেই প্রকল্পের পুরোভাগে। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভকে ঐশ্বরিক ও মহত্তম করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। ঝড়ের গতিতে চলছে কাজ। সাধুসন্ত, নাগা সন্ন্যাসী, যোগী এবং সাধারণ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার দিকে যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, তাঁদের খাওয়া দাওয়া, থাকার বন্দোবস্ত থেকে বিনোদন- নজর সবদিকেই। পাশাপাশি পুণ্যার্থীদের জন্য নিরাপত্তার নজিরবিহীন ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ‘মহাকুম্ভ ২০২৫’ ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে এক নিদর্শন স্থাপন করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যা একই সঙ্গে মহান ও ঐশ্বরিক হয়ে উঠবে। আর সেই সংক্রান্ত ব্যস্ততার ফাঁকেই বন্দুক হাতে সকলকে চমকে দিতে দেখা গেল যোগী আদিত্যনাথকে।