সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমজনতার মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে HMPVতে আক্রান্ত হয়েছে বেঙ্গালুরু এবং আহমেদাবাদের তিন শিশু। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শিশুদের দেহে এইচএমপিভি মিললেও সেটি চিনা ভ্যারিয়েন্টের নয়। আক্রান্ত শিশুরাও সম্প্রতি বিদেশে যায়নি। উল্লেখ্য, সোমবার সকালেই তিন শিশুর এইচএমপিভি আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। তাদের মধ্যে দুজন বেঙ্গালুরুর, অন্যজন আহমেদাবাদের।
আতঙ্ক ছড়াতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়ে, 'ভারত-সহ বিশ্বের নানা দেশেই রয়েছে এইচএমপিভি। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা অনেকের শরীরেই এই ভাইরাস মিলেছে।' এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর পরে কড়াকড়ি শুরু করেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। সেই সময়েই বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর দেহে মিলেছে এইচএমপিভি ভাইরাস।
বেঙ্গালুরুর ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ভর্তি থাকা দুই শিশুর মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠছে। হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তিনমাস বয়সি ওই শিশুকন্যাকে। তবে আটমাস বয়সি শিশুপুত্রটি এখনও চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই শিশু সম্প্রতি বিদেশে যায়নি। তাই তাদের দেহে এইচএমপিভি ভাইরাস থাকলেও সেটি চিনা প্রজাতির নয়। এহেন পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, আহমেদাবাদের এক শিশুও এইচএমপিভি আক্রান্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১১ বছরের কম বয়সিদের মধ্যেই সাধারণত দেখা যায় এইচএমপিভি অর্থাৎ হিউম্যান মেটানিউরোভাইরাস। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ০.৭ শতাংশের দেহে থাকে এইচএমপিভি। কিন্তু সম্প্রতি এই ভাইরাসের কোনও একটি প্রজাতি চিনে দাপট দেখাচ্ছে। সেখান থেকেই ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। রবিবারই HMPV-র দাপটের কথা উল্লেখ করে কেরল সরকারের তরফে জনতার উদ্দেশে পরামর্শ দেওয়া হয়, আতঙ্ক ছড়াবেন না। তবে বাড়ির বাইরে যেতে মাস্ক ব্যবহার করুন। HMPV নিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত দেশ, বলা হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।