সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে সাংবাদিক খুনের মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার। রবিবার রাতে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুরেশ চন্দ্রকর নামে এক কন্ট্রাক্টরকে। সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর খুনে মূল অভিযুক্ত হিসাবে সুরেশের নামই উঠে এসেছিল। গত কয়েকদিন ধরেই পলাতক ছিল সুরেশ। অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল তাকে। তার স্ত্রীকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
১ জানুয়ারি থেকে মুকেশকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ছত্তিশগড়ে স্থানীয় এক নিউজ চ্যানেলে কাজ করতেন তিনি। সুরেশ চন্দ্রকর নামের এক কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে ১২০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। এটা নিয়েই তদন্ত করছিলেন মুকেশ। দীর্ঘ সময় তাঁর ফোন বন্ধ থাকার পর ওঁর দাদা য়ুকেশ থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন। শুক্রবার সেপ্টিক ট্যাঙ্কে উদ্ধার হয় মুকেশের মৃতদেহ। তারপর থেকেই অভিযোগের আঙুল ওঠে কন্ট্রাক্টর সুরেশের দিকে। কিন্তু গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বেপাত্তা ছিল সুরেশ।
সাংবাদিকের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে হইচই পড়ে যায়। তদন্ত করতে নেমে মূল অভিযুক্ত সুরেশের সন্ধান শুরু করে সিট। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছত্তিশগড় থেকে পালিয়ে হায়দরাবাদে চলে গিয়েছিল সুরেশ। নিজের গাড়িচালকের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। সুরেশের খোঁজ পেতে অন্তত ২০০টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। ৩০০টি মোবাইল নম্বরেও নজর রেখেছিল পুলিশ। অবশেষে রবিবার রাতে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুরেশ চন্দ্রকরকে। আপাতত তাকে জেরা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই সুরেশের দুই ভাই রীতেশ এবং দীনেশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সুপারভাইজার মহেন্দ্র রামতেকেও ধরা পড়েছে পুলিশের জালে। পাকড়াও করা হয়েছে সুরেশের স্ত্রীকেও। উল্লেখ্য, সাংবাদিক খুনে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মার দাবি, অভিযুক্ত সুরেশ কংগ্রেসের নেতা। কিন্তু হাত শিবিরের পালটা, কিছুদিন আগেই সুরেশ যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।