সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংখ্যালঘুদের জন্য সবচেয়ে বেশি নিরাপদ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ! বিরোধীদের বিভাজন তত্ত্ব খারিজ করে বুধবার এমনটাই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্যের সংখ্যালঘুরা কতখানি নিরাপদে রয়েছেন তা বোঝাতে ইউনুস শাসনের বাংলাদেশের উদাহরণ তুলে ধরলেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী।

যোগী শাসনে উত্তরপ্রদেশে 'হিন্দুরাজ' চলছে। সংখ্যালঘুদের উপর নেমে আসছে খাঁড়ার ঘা। গরু সংক্রান্ত হিংসা, বুলডোজার নীতি, বেলাগাম এনকাউন্টারের জেরে যোগীরাজে বারবার কট্টর হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। তবে সেই সব অভিযোগকে ফুৎকারে উড়িয়ে সম্প্রতি এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যোগী বলেন, "একটি মুসলিম পরিবার ১০০ হিন্দু পরিবারের তুলনায় বেশি নিরাপদ। এখানে তাঁদের ধর্মীয় রীতি যথাযথভাবে পালন করার স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে দেখুন সেখানে কী ৫০টি হিন্দু পরিবার ১০০ হিন্দু পরিবারের তুলনায় সুরক্ষিত? এর উত্তর না।" নিজের প্রসঙ্গেও যোগী বলেন, ''আমি একজন যোগী। ফলে সকলের সুখ সমৃদ্ধিই কামনা করি আমি।''
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক মসজিদ নিয়ে বিবাদ ও তাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় দাঙ্গার ঘটনা সামনে এসেছে। যদিও এসকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ যোগী। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, "উত্তরপ্রদেশে মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। যদি হিন্দুরা নিরাপদ থাকে তাহলে তাঁরাও নিরাপদ।" সুশাসনের জন্যই চলতি সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার ৮ বছর পূরণ করেছে সে কথাও মনে করিয়ে দেন যোগী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি সপা ও বসপা আমলের উত্তরপ্রদেশের উদাহরণ তুলে যোগী আরও বলেন, "২০১৭ সালের আগে উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন দাঙ্গা হত। হিন্দুদের বাড়ি-ঘর দোকান জ্বলত। ২০১৭ সালের পর বিজেপি সরকারের আমলে সেই সব দাঙ্গা বন্ধ হয়েছে।"
পাশাপাশি সম্ভল হিংসার প্রসঙ্গে যোগীর দাবি উত্তরপ্রদেশে হিন্দু তীর্থস্থানগুলির উপর মসজিদ নির্মিত হয়েছে। এটা ইসলামিক নীতির পরিপন্থী। তিনি বলেন, "সম্ভলে যতগুলি মন্দির রয়েছে সরকার সেই সব মন্দির পুনরুজ্জীবিত করবে। সম্ভলে ৬৪টি তীর্থস্থান রয়েছে যার মধ্যে আমরা ৫৪টি খুঁজে পেয়েছি। বাকিগুলিও খুঁজে বের করব। এবং বিশ্বকে বলব সম্ভলে ঠিক কী ঘটেছে তা তারা দেখুক।"