shono
Advertisement

Breaking News

Yogi Adityanath on Operation Sindoor

'ভারতীয় মেয়েদের সিঁদুরে হাত দিলে পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে', অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে হুঙ্কার যোগীর

পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯ জায়গার জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র।
Published By: Hemant MaithilPosted: 11:12 AM May 08, 2025Updated: 01:27 PM May 08, 2025

হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: ভারতীয় মেয়েদের সিঁদুরের বদলা 'অপারেশন সিঁদুর' (Operation Sindoor)। ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা। সিঁথির সিঁদুর মুছে গিয়েছিল নিহতদের স্ত্রীদের। সেই নৃশংসতার বিরুদ্ধে বদলার আগুনে ফুঁসছিল গোটা দেশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের মুখে মোক্ষম চড় কষিয়েছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯ জায়গার জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র। নিকেশ হয়েছে প্রায় শতাধিক জেহাদি। এই প্রত্যাঘাতে জইশ-এ-মহম্মদ প্রধান মৌলনা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্যও নিহত হয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের এই সাফল্যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) হুঙ্কার, যারা ভারতীয় মেয়েদের সিঁদুরে হাত দেবে, তাদের পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। 

Advertisement

ভারতের এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে গিয়েছে বলে খবর। রাতভর গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২৫ মিনিট ধরে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলোতে হামলা চালানো হয়। এনিয়ে যোগী বলেন, "অপারেশন সিঁদুর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী জবাব। জঙ্গিরা যদি ভারতের মেয়েদের সিঁদুরে হাত দেয় তাদের পরিবারও এইভাবেই গুঁড়িয়ে যাবে। অপারেশন সিঁদুর হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেশের বোন ও মেয়েদের প্রতি অঙ্গীকার এবং সংবেদনশীলতার প্রতীক। সেনাবাহিনীর এই সাহসিকতার প্রতি জনগণের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।"

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী গতকাল ৭ মে দেশজুড়ে মক ড্রিল হয়। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই এই অসামরিক মহড়া। দেশের ২৭টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়ার নির্দেশকা দিয়েছিল অমিত শাহ-র দপ্তর। যার মধ্যে ছিল উত্তরপ্রদেশও।এই মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন যোগীও। সেখান থেকেই তিনি বলেন, "ভারতের গর্ব ও সম্মান নিয়ে আমরা কাউকে খেলতে দেব না। দেশ সবার আগে। কেউ ভারত মাতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে তার পরিণতি ভয়ংকর হবে। ফল ভোগ করতে হবে। গ্রাম, শহর বা পাড়া যেখানেই হোক না কেন, জাতীয় নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।"

কেবল এনসিসি ক্যাডেট, হোমগার্ড এবং স্কাউটদের নয়, প্রতিটি নাগরিককে এগিয়ে এসে নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে সমর্থন করার আহ্বান জানান যোগী। তিনি বলেন, "দেশকে রক্ষা করা আমাদের যৌথ দায়িত্ব। পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতের জন্য উত্তরপ্রদেশের জনগণের পক্ষ থেকে তিন বাহিনী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে অভিনন্দন। হামলায় প্রাণ হারানো পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে।" এদিন মহড়ার সময় যোগীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সেরাজ্যের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না, মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) সঞ্জয় প্রসাদ, ডিজিপি প্রশান্ত কুমার, এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) অমিতাভ যশ, লখনউয়ের কমিশনার অমরেন্দ্র সিং সেঙ্গার, লখনউয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিশাখ জি এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা।
  • সিঁথির সিঁদুর মুছে গিয়েছিল নিহতদের স্ত্রীদের। সেই নৃশংসতার বিরুদ্ধে বদলার আগুনে ফুঁসছিল গোটা দেশ।
  • পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯ জায়গার জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র।
Advertisement